ইসরায়েল-মোসাদের সাথে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে, দাবি ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৯, ২০২৩, ১১:০৪ পিএম

ইসরায়েল-মোসাদের সাথে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে, দাবি ওবায়দুল কাদের

সংগৃহীত ফাইল ছবি

ইসরায়েল ও দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির এক সিনিয়র নেতার সঙ্গে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এ ধরনের দেশবিরোধী অপতৎপরতার সাথে বিএনপি সর্বদা জড়িত থাকে।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও ফিলিস্তিনের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ফিলিস্তিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতকে শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ইসরাইলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদলের নেতাদের ফোন হ্যাক করার কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করেছেন। একজন রাজনৈতিক নেতার এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

বিএনপি মহাসচিব ফোন হ্যাকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কার কার ফোন হ্যাক করা হয়েছে? তথ্য-প্রমাণসহ তা উল্লেখ না করেই এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করা বেআইনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনগড়া এই বক্তব্য তাদের চলমান অপপ্রচার ও গুজব-সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা। ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণ ও বিদেশিদের প্রভাবিত করার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ষড়যন্ত্রমূলক এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আমি আহ্বান জানাবো, জল ঘোলা করার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এভাবে অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।”

সরকারি সব সংস্থা সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা পরিচালিত হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা দেশে এবং বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। দেশবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলো সর্বদা তৎপর রয়েছে। সরকার সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনও ব্যত্যয় ঘটেনি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অতীতে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড জনগণ প্রতিহত করেছে। তাই আমরা বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাবো, নির্বাচনবিরোধী অবস্থান পরিত্যাগ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি মনোযোগী হোন।”

Link copied!