বেটা
সংগৃহীত ছবি
এবারের ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক, রেল ও নৌ পথে সম্মিলিতভাবে ৩১২টি দুর্ঘটনায় জন ৩৪০ নিহত ও ৫৬৯ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির পর্যবেক্ষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ২২ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ০৬ এপ্রিল পর্যন্ত গত ১৫ দিনে ২৭৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত ৫৪৪ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২২ সালের ঈদুল আযহায় যাতায়াতের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৫.১৬ শতাংশ, প্রাণহানী ৩৩.১১ শতাংশ, আহত ৪২.২৭ শতাংশ কমেছে। উল্লেখিত সময়ে রেলপথে ২৫টি ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, আহত ১৫ জন ও ০৬ জন নিখোঁজ হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেলের অবস্থান থাকলেও এবারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পশুবাহী যানবাহনের ব্যাপক চলাচল ও ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ট্রাক-পিকআপ-কভার্ডভ্যানের অবাধ চলাচলের কারণে এবারের ঈদে দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে ট্রাক-পিকআপ-কভার্ডভ্যান। এবারের ঈদে ৮৮টি ট্রাক-পিকআপ-কভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত, ১৯৩ জন আহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩১.৭৬ শতাংশ, নিহতের ৩১.১০ শতাংশ এবং আহতের ৩৫.৪৪ শতাংশ প্রায়। এর সাথে পাল্লা দিয়ে ৯১ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৪ জন নিহত ও ৭৭ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৮৫ শতাংশ, মোট নিহতের ৩১.৪৩ শতাংশ, মোট আহতের ১৪.১৫ শতাংশ।
এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় ৮২ জন চালক, ০৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৫ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৫ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, ০৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য(০১ পুলিশ, ০১ নৌ বাহিনী, ০১ র্যাব, ০১ বিজিবি, ০১ সেনাবাহিনী), ০৪ জন শিক্ষক, ০৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার পরিচয় মিলেছে।
সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ২২.৩৭ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩.০৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ১৭.৫৭ শতাংশ ব্যাটারিরিক্সা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ১৫.৭৫ শতাংশ বাস, ১০.২৭ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ, ৫.৪৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা ও ৪.৫৬ শতাংশ সিএনজি অটোরিক্সা এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।
সংগঠিত দুর্ঘটনার ২৬.৩৬ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫৪.৫১ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১০.১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায়, ০.৭২ শতাংশ ট্রেনের সাথে যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা এবং ৬.৪৯ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাতকারনে দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৬.৪৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৯.২৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯.৬০ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ১.৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে সংগঠিত হয়েছে।
