চিরতরে আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের সুপারিশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৪, ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম

চিরতরে আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের সুপারিশ

গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে দলটির সম্পাদকমণ্ডলী। দলীয় সিদ্ধান্ত আবারও অমান্য করায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রবিবার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আসন্ন পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী। বিশেষ করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তারপরও জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।

আলোচনায় গাজীপুরের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি সামনে আসে। তাঁরা বলেন, এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটূক্তি করার জন্য জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখন তিনি আবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। শুধু তিনি নন, তাঁর মাকেও প্রার্থী করেছেন। নিজের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর মায়ের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। সেখানে দলের বিপক্ষেও কথা বলছেন। এ জন্য তাঁকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন নেতারা।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, বিষয়টি প্রথমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উত্থাপন করেন। বারবার সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাঁকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন তিনি। তিনি বলেন, বারবার ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন জাহাঙ্গীর। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা এতে একমত হন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন। জাহাঙ্গীর আলম যাতে দলের কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হতে পারেন, সে সিদ্ধান্তই হয়।

২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সেখানে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন জাহাঙ্গীর আলম। একই সঙ্গে মা জায়েদা খাতুনকেও প্রার্থী করেন তিনি। ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল হয়। পরে আপিলেও মনোনয়ন ফিরে পাননি তিনি।

Link copied!