ঈদুল আজহা

দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ মেয়রের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২১, ২০২৩, ০২:০৫ এএম

দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ মেয়রের

পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দুপুর ২টা হতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করতে সকল কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে কর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের বিংশতম বোর্ড সভায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ নির্দেশনা দেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা গতবার অত্যন্ত সফলতার সাথে নিজ নিজ ওয়ার্ড হতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিলেন। এমনকি কে আগে বর্জ্য অপসারণ শেষ করতে পারে সেজন্য আপনাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। আমি আশা করছি, আপনারা এবারও নিজ উদ্যোগে এই পুরো কার্যক্রমটা তদারকি করবেন। বর্জ্য সংগ্রহে আমাদের নিবন্ধিত যে প্রতিষ্ঠানগুলো (পিসিএসপি) রয়েছে আমরা এরই মাঝে তাদের নিয়ে একটি সভা করেছি। আপনারা মাঠ পর্যায়ে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পিসিএসপিগুলোকে নিয়ে দুপুর দুইটা থেকেই যেন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা যায় সেটি নিশ্চিত করবেন।’

পশুর হাটের বর্জ্য সীমিত পরিসরে ঈদের রাত হতে অপসারণ শুরু করার দিকনির্দেশনা দিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘যেসব মহল্লায় ও এলাকায় পশুর হাট রয়েছে, সেসব পশুর হাট হতে ঈদের রাতে বারোটার আগে থেকে আমরা বর্জ্য অপসারণ শুরু করতে চাই। না হলে একদিকে হাটের বর্জ্য আবার অন্যদিকে পশুর বর্জ্য -- দুটি অপসারণ কার্যক্রম করতে হিমশিম খেতে হয়। রাত থেকে হাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু করলে ঢাকাবাসীকে দ্রুত একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পারব।’

এ সময় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস কোরবানির স্থান ও বাসাবাড়ি হতে সকল পশুর বর্জ্য সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাউন্সিলরদের জোর তদারকিরও নির্দেশ দেন।

বোর্ড সভায় কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারকে ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

এছাড়াও অঞ্চল-৫ এর সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ সামছুল আলম, অঞ্চল-৫ এর সমাজকল্যাণ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মো. নুরুল ইসলাম খান এবং অঞ্চল-২ এর সমাজকল্যাণ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মাসুদুর রহমানকেও সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বোর্ড সভায় কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়াও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!