পদ্মা সেতু নির্মাণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি পরিশোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১৯, ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম

পদ্মা সেতু নির্মাণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি পরিশোধ

সংগৃহীত ছবি

পদ্মা সেতু নির্মাণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তিতে নেওয়া ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকা পরিশোধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৯ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের কাছে এ টাকা তুলে দেন সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব/সচিব এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৫ এপ্রিল  ১ম ও ২য় কিস্তির মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা পরিশোধ করা হয়। এর ফলে প্রথম বছরে সর্বমোট ৬৩২ কোটি ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৩ টাকা পরিশোধ করা হলো।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে এই ঋণ নেওয়া হয়।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা নদীর ওপর দেশের সর্ববৃহৎ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুটি দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানীর সাথে সরাসরি সংযুক্ত করেছে।

নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু থেকে গতকাল (রবিবার, ১৮ জুন) পর্যন্ত মোট ৭৭ কোটি ৯৭৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার টোল আদায় হয়েছে।

সেতুটি নির্মাণে মোট বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে মূল সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা (৪০০ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য ১ হাজার কোটি টাকাসহ)।

এ ছাড়া নদী শাসন কাজের জন্য ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, অ্যাপ্রোচ রোড (দুটি টোল প্লাজাসহ থানা ও ৩টি সার্ভিস এলাকার জন্য দুটি ভবন নির্মাণ), বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনে (প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট) ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে ২ হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে ঋণ চুক্তি অনুযায়ী এক শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছর ৪টি কিস্তি করে সর্বমোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদ-আসলে সর্বমোট ৩৬ হাজার ৩৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে। এছাড়া সেতুর ডিটেইল ডিজাইনের জন্য এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ২টি ঋণ চুক্তির আওতায় দুই শতাংশ সুদে মোট এক কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার স্পেশাল ড্রয়িং রাইট (এসডিআর) ঋণ নেয়া হয়েছে, যা বছরে ৪টি কিস্তি করে মোট ৬০টি কিস্তিতে সুদ-আসলসহ মোট ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩০ টাকা এসডিআর পরিশোধ করা হবে।

চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের এ ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

Link copied!