বেটা
জুন ১৯, ২০২৩, ১১:০১ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান জানতে চায় মন্তব্য করে দেশটির সরকার ও রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বন্ধুত্ব কী শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন, বন্ধুত্ব কি শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গে করবেন; নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে করবেন? একজনের সাথে বন্ধুত্ব করে কোনো লাভ হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১৪ মে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রামে ‘ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে’ ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।
মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “বন্ধুত্ব চাই; চাই না। একটা রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটা রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব থাকবে। কিন্তু এই সরকার তো বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে না। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলে দিয়েছে— প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব স্বামী-স্ত্রীর মতো।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “স্বামী-স্ত্রী ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এক নয়। সুতরাং আমরাও তো ভারতের সঙ্গে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব আমাদের দরকার, ঝগড়াঝাটি আমাদের চলে না। আমাদের যদি প্রভুত্ব বা স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা দেয়, সেই বন্ধুত্ব তো কাম্য নয়।”
বাংলাদেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাসহ যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, তার পাশে বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিহীন। যার জন্য এ দেশের জনগণ ভারতকে দায়ী করে- এ কথা স্পষ্ট করে বলে দিলাম। আপনাদের ভারত সরকার, ভারতের রাজনীতিবিদদের বলেন, বন্ধুত্ব কী শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন, বন্ধুত্ব কি শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গে করবেন; নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি ভারতের বন্ধুত্ব হয়, সেটি হলো প্রকৃত বন্ধুত্ব, সেটি মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই হবে। নতুবা একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না।”
এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, “সুতরাং আপনাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে-এই সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। সঠিক তথ্য আপনাদের জানাতে হবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনারা আমাদের নির্বাচনে পাশ করিয়ে দেবেন তা নয়; গণতন্ত্রের প্রশ্নে সুস্পষ্ট অবস্থান নেবেন কিনা, তা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়?”
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে এই সরকারের আমলে গুম, খুন, নির্যাতনসহ সব অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ।
