ভিসানীতিতে বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২৯, ২০২৩, ১১:৩০ পিএম

ভিসানীতিতে বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি নির্বাচন বানচালে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর সতর্কতা জারি করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সোমবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘মিথ্যাচার ও অর্বাচীন বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল  কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নীলনকশা অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। তাই বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক বিবেচিত হবে না—গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শ পরিপন্থি এমন অপপ্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে।’

বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করার জন্য বিএনপি মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে নতুন নতুন নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোথাও নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়ে তার দোষ চাপাচ্ছে সরকারের ওপর। কোথাও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। আবার কোথাও পুলিশের ওপর নিজেরাই বিনা উসকানিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত ধারাবাহিক উন্নয়ন-অগ্রগতি ও প্রশংসনীয় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী ও সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং বিশ্বশান্তি ও মানবমুক্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য কর্মপ্রয়াস বিশ্বরাজনীতিতে তাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি প্রভাবশালী রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন অভিধায় অভিষিক্ত হয়েছেন।’

আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আবর্তিত হয় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম। জনগণই আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের নামই আওয়ামী লীগ। বিএনপি যত দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দেবে ততই তারা গণশত্রুতে পরিণত হবে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এ দেশের মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি-প্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’

Link copied!