সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১০, ২০২৩, ০৭:২০ পিএম

সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমালোচনা ভালো কিন্তু সেটি গঠনমূলক হওয়া উচিত। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধনীর সুযোগ থাকতে হবে। অপজিশন (বিরোধী দলগুলো) তো বলবেই। তারা সারাদিন কথা বলে। টকশোতে যা খুশি ইচ্ছামতো বলে যাচ্ছে। সব বলার পরও বলবে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। তো স্বাধীনতাটা ছিল কখন। আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান নাকি এরশাদের আমলে ছিল?

সোমবার (১০ জুলাই) অসুস্থ, অসচ্ছল এবং দুর্ঘটনা আহত ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। কিন্তু আমাদের ওপর ঝড়ঝাপটা কম যায়নি। যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর, সেই স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়ে যায়। পাকিস্তান আমলে সবসময় যেমন মিলেটরি ডিক্টেটররা যেমন ক্ষমতায় এসেছে। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে ৭৫’র পর একই পন্থায় ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। যার ফলে আজকে আমরা জনগণের সেবা করারও সুযোগ পেয়েছি। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি। তখন দেশে শুধু একটি টেলিভিশন ছিল। সেটিও সরকারি টেলিভিশন। আমরা তো আবার ভুলে যাই। ছয় ঋতুর দেশ, ঋতুও বদলায়, মনও বদলায়, স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়। তখন সংবাদপত্র ছিল মাত্র কয়েকটি। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক সংবাদপত্র অফিস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছিল। জাতির পিতা সমস্ত সাংবাদিকদের সরকারি চাকরির মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং চাকরির সুযোগও করে দিয়েছিলেন। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল এ দেশের মানুষের যেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেখলাম যে, সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা। তখন কিন্তু অবাধে যাতে আরও সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে পারে সেই ব্যবস্থা যেমন করেছি। তেমনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন আমরা দিতে শুরু করি। প্রথমে তিনটার অনুমোদন দিলাম, এরপর আস্তে আস্তে আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে সময় অনেকে বাধা দিয়েছিলেন যে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া ঠিক হবে কিনা। সত্যিকথা বলতে, আমরা একটাই লক্ষ্য ছিল যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। আমি তখনই এটিই বলেছিলাম যে, আমরা যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব ততো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে শিল্পী, সাহিত্যিক, টেকনিশিয়ান সবার কর্মস্থান হবে।

Link copied!