সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা আগে, তারপর সংলাপ: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৭, ২০২৩, ১২:৩৮ এএম

সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা আগে, তারপর সংলাপ: মির্জা ফখরুল

আবারও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগে সরকারকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। পরে সংলাপ হবে। সরকারের সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা ছাড়া সংলাপের প্রশ্নই আসে না।”

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেল রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “একটা তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ যাই বলুক না কেন- নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই ঘোষণা সরকারকে সবার আগে দিতে হবে। এবং পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতে হবে। এ ছাড়া সংলাপের কোনো প্রশ্ন আসে না।”

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব বলেন, “জনগণের অধিকার, কথা বলার বাকস্বাধীনতা- এগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। বর্তমান অবৈধ সরকারের ক্ষমতা আসার পর থেকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের সকল অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

আওয়ামী লীগ সরকার এই বছরেই একটি পাতানো নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “পাতানো নির্বাচন এ দেশের মানুষ কখনো গ্রহণ করবে না। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এদেশে মানুষ মেনে নেবে না। আমাদের পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপন হয়েছে, পরিষ্কারভাবে বলেছি, এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।”

আগামী নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই নির্বাচনের উপর নির্ভর করবে জাতির অস্তিত্ব থাকবে কি থাকবে না। জাতির স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না। জাতি একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র তৈরি করতে পারবে কি পারবে না। সেজন্য আমরা বলেছি, নির্বাচনটা অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।”

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে ওলামায় ইসলাম মহাসচিব মুফতি গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাগপার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!