সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১৭, ২০২৩, ০৩:৩৯ এএম

সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আইসিইউ ও জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৬ জুন) এ ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

একই সাথে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহাও হাসপাতালটিতে আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দিতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।

মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত অভিযাগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিম শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মো. দাউদ আদনান ও অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার উপ-পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে কর্মরত ডা. সংযুক্তা সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পরবর্তীতে সেন্ট্রাল হাসপতালে কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না।

এতে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া চিকিৎসা বাবদ সব খরচ এবং চিকিৎসাজনিত জটিলতার যাবতীয় ব্যয় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ভুক্তভোগী রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সব চিকিৎসকের তথ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র বিএমডিসিতে পাঠাতে হবে। এরপর বিএমডিসি থেকে ওই চিকিৎসকদের নিবন্ধন বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়াও আদালতে চলমান মামলায় অভিযুক্ত ডা. শাহজাদী মোস্তাকি ও ডা. মুনা সাহার যাবতীয় খরচ সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিদ্যমান আইনে তা নিষ্পন্ন করতে হবে।

ভুক্তভোগী প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবারের অভিযোগ, ডেলিভারি ও পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসায় মিথ্যা আশ্বাস দেয় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল। আঁখি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। চিকিৎসকদের অবহেলায় শুক্রবার জন্মের পরপরই মৃত্যু হয় তাঁর নবজাতকের। এসব অভিযোগে ইতিমধ্যে চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ ১১ জনকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করেছে গ্রিনরোড এলাকার ওই হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। 

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আফসানা বিনতে গাউস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Link copied!