এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম
বর্ণভিত্তিক জনশুমারি চলছে। সবার নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত লিখে নিচ্ছেন কর্মকর্তারা। জনশুমারি চলাকালে একের পর এক নারী তাঁর বরের নাম বলতে থাকেন রূপচাঁদ, এমন কি ওই এলাকার বাচ্চাগুলোও বাবার নাম রূপচাঁদ বলতে থাকে। কাগজপত্রেও তা ই দেওয়া। দেখে তো কর্মকর্তাদের চোখ উঠলো কপালে, হাত উঠলো মাথায়।
খোঁজা শুরু হলো কে এই রূপচাঁদ। ৪০ জন তাঁর স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে আছেন আর সন্তানও অনেক তাঁর।
বিহারের আরওয়াল জেলায় বর্ণভিত্তিক জনশুমারি চলাকালীন এ ঘটনা ঘটেছে।
এক যৌনপল্লীতে জনশুমারি চলাকালে সেখানকার ৪০ জন নারী স্বামীর নাম রূপচাঁদ বলে জানিয়েছেন। তাদের সন্তানদের বাবার নাম জিজ্ঞেস করা হলে তারাও রূপচাঁদের নাম নেয়। তখন কর্মকর্তারা পড়ে যান টেনশনে।
কে এই রূপচাঁদ! তাঁর ৪০টা স্ত্রী। কিন্তু তাঁকে দেখা গেল না কোনো স্ত্রীর কাছেই।
৪০ স্ত্রীর ও সন্তানদের আধার কার্ড ও প্যান কার্ড পরীক্ষা করেও দেখা যায় সেখানে রূপচাঁদের নাম লেখা।
পরে জানা গেল, ওই যৌনপল্লীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে যে নারীরা থাকেন তাদের কোনো স্থায়ী নিবাস নেই। তারা যৌনবৃত্তি করেই জীবনযাপন করেন। আর আধার কার্ড ও প্যান কার্ড বানানোর সময় বরের নাম রূপচাঁদ লেখেন।
এত নাম থাকতে সবাই মিলে রূপচাঁদই স্বামীর নাম কেন রাখলেন জানতে ইচ্ছে হয় কর্মকর্তাদের।
ওই যৌনপল্লীর নারীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, টাকা শব্দের সমর্থক বা কোড-ওয়ার্ড হল রূপচাঁদ! টাকাই তাঁদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান, তাই আর কোনো নাম নয়, টাকার নামেই বরের নাম রেখেছেন ওই ৪০ নারী।