আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে বেশ আনন্দঘন পরিবেশেই চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান।সেই আনন্দ যেন হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। সবাই যখন আনন্দ উল্লাসে ব্যস্ত তখনই স্ল্যাব ভেঙে কুয়ায় পড়ে একসঙ্গে নারী ও শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ১৫ জনকে গ্রামবাসীরাই উদ্ধার করতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে।
গতকাল বুধবার দিনগত রাতে ভারতের উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের কুশিনগর জেলার নেবুয়া নৌরাঙ্গিয়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
আনন্দবাজারসহ বেশ কয়েকটি ভাররতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কুশিনগরের নেবুয়া নওরঙ্গিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে চলছিল বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। বাড়ির উঠোনে সবাই জড়ো হয়েছিলেন। উঠোনেই একটি পুরনো কুয়ো কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে ঢাকা ছিল। সেখানে কেউ বসে, আবার কেউ দাঁড়িয়ে দেখছিলেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। এমন সময় ভেঙে পড়ে কংক্রিটের স্ল্যাবটি। অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন মহিলা ও শিশু পড়ে যান কুয়োর ভিতরে। মুহূর্তে হুলস্থুল পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন সকলে। গ্রামবাসীরা শিশু ও মহিলা মিলিয়ে ১৫ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও, ১৩ জনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশু।
জেলাশাসক এস রাজালিঙ্গম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘কুয়োয় পড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানতে পেরেছি, মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে কুয়ো ঢাকার স্ল্যাবের উপর বসে ও দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু পুরনো স্ল্যাবটি ভার ধরে রাখতে পারেনি। স্ল্যাব ভেঙে সবাই কুয়োয় পড়ে যান।’’ মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
উত্তর প্রদেশের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।