জুলাই ৩১, ২০২২, ০৪:৪০ পিএম
কলেজ ছাত্র মামুনের বয়স ২২ এবং শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের ৪০। ছয় মাস প্রেম করার পর করেছেন বিয়ে। এ ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্য বা শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক কোনোটিই তাঁদের প্রেমে বাঁধা হতে পারেনি! খবরটি এখন ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা তাদের এই বিয়ের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
জানা যায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে তাঁর বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তাঁর এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশিদিন টেকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের দুজনের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ের পর তারা নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন।
খাইরুন নাহার বলেন, ‘প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেই। সে সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সাথে। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিলেও আমার পরিবার মেনে নেয়নি।’
মামুন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। কে কী বললো সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। সকলের কাছে দোয়া চাই।’