বিএনপি নেতার গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন দুই শ্যালকের স্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৯, ২০২২, ০১:৩১ এএম

বিএনপি নেতার গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন দুই শ্যালকের স্ত্রী

যৌন নির্যাতন করায় স্থানীয় বিএনপির এক নেতার গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার দুই শ্যালকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ২৪ ডট কমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার (৬ জুন) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বড় বেলতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গোপনাঙ্গ হারানো ওই বিএনপি নেতার নাম বজলুর রহমান। তিনি ওই গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে এবং পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তা।

পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মতিয়ার রহমান পলু ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বজলুর রহমানকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

মতিয়ার রহমান পলুর বরাত দিয়ে জাগো নিউজ২৪ ডট কমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বজলুর রহমান তার শ্বশুরবাড়িতে আর্থিক সহায়তা করতেন। তিনি তার দুই শ্যালককে সৌদি আরব পাঠান। এ সময় তার এনজিও থেকে ঋণও দেওয়া হয়েছিল। ওই ঋণের কিস্তির টাকা আনতে নিয়মিত শ্বশুরবাড়িতে যেতেন বজলুর রহমান। আসা-যাওয়ায় শ্যালকের স্ত্রীদের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

অন্য নারীর সঙ্গে বজলুর রহমানের সম্পর্ক আছে বলেও জানতে পারেন তারা। এ নিয়ে বজলুরের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে সোমবার গভীর রাতে কৌশলে তাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নেন ওই দুই নারী। এরপর দুজনে একসঙ্গে বজলুরকে জড়িয়ে ধরেন। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্লেড দিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে দেন তারা।

মতিয়ার রহমান আরও জানান, ঘটনাটি আত্মীয়দের মধ্যে হওয়ায় কোনো পক্ষ মামলা করেনি। দুই পক্ষ থেকে আপস-মীমাংসার আলোচনা চলছে। বজলুর এখন কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তাও তিনি জানতে পারেননি।

অভিযুক্ত দুই প্রবাসীর স্ত্রী জাগো নিউজকে জানান, ফজলুর রহমান নিয়মিত তাদের নির্যাতন করতেন। ওইদিন রাতে দুজনকে একসঙ্গে মেলামেশা করার চেষ্টা করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হাতের কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে এ কাণ্ড ঘটান।

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এ ঘটনায় কোনো পরিবারই অভিযোগ দেয়নি। তারা পারিবারিকভাবে বিষয়টির মীমাংসা করেছে বলে জানিয়েছেন।”

পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “এ ঘটনায় দুই পরিবার মীমাংসার কথা বলেছিল। পরে তারা আর আসেননি।”

Link copied!