মাগুরার বহুল আলোচিত মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সেই শিশু সুরাইয়া স্কুলে ভর্তি হয়েছে। রবিবার (২ জানুয়ারি) সকালে মাগুরা পুলিশ লাইনস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করেছেন পরিবার। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেসিরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির অনলাইন নিউজ পোর্টাল -আরটিভি অনলাইন ডটকম এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সুরাইয়ার মা নাজমা বেগমের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলির আঘাতে সুরাইয়ার ডান চোখটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। বাম চোখের অবস্থাও ভালো না। চিকিৎসক বলেছেন, ডান চোখে আর দেখতে পাবে না সে। ডান চোখ তুলে না ফেললে বাম চোখও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, “তার সম বয়সীরা এখন দৌঁড়ে বেড়ালেও সুরাইয়া এখনও দাঁড়াতেও পারে না। কেউ দুহাতে ধরে দাঁড় করিয়ে দিলেও সে পড়ে যায়। ইতোমধ্যে তার গলায় একটি টিউমারও ধরা পড়েছে। সুরাইয়ার ডান পাশটিতে জোর কমে যাচ্ছে। ডান হাতে সে কাজ করতে পারে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, সুরাইয়া উন্নত চিকিৎসা পেলেই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সেই অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই, যে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেব। তারপরও আমরা তাকে স্কুলে ভর্তি করেছি। কারণ ওকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি।”
প্রসঙ্গত,২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এলোপাতাড়ি গুলিতে টিউবওয়েলের পাড়ে কাজ করা অবস্থায় গর্ভে থাকা সন্তানসহ নাজমা বেগম গুলিবিদ্ধ হন। পরে মাগুরা সদর হাসপাতালের সার্জন শফিউর রহমানের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুরাইয়া পৃথিবীতে আসে। তবে জন্মের পর চিকিৎসকরা তার হার্টে ছিদ্র দেখতে পান।