চেক প্রজাতন্ত্রের টেলিভিশন উপস্থাপক ও ইনফ্লুয়েন্সার কামিল বারতোশেক `ইনফ্লুয়েন্সার` হেলিকপ্টারের মাধ্যমে `ডলার বৃষ্টি` তৈরি করেছেন।
লাইসা ন্যাড লাবেম শহরে এক মিলিয়ন ডলার ছুঁড়ে ফেলেছেন কাজমা, যা শহরের বাসিন্দারা এক ঘণ্টার মধ্যে সংগ্রহ করে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভারতের সংবাদমাধ্য ইন্ডিয়া টুডে এই তথ্য জানায়।
মূলত `কাজমা` নামে পরিচিত এই চেক ইনফ্লুয়েন্সার এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিলিয়ে দিয়ে মানুষকে হতবাক করে দেন। তার মূল পরিকল্পনা ছিল একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী ব্যক্তিকে এই পুরষ্কার দেবেন।
তার নিজের অভিনিত সিনেমা `ওয়ানম্যানশো: দ্য মুভি` থেকে অংশগ্রহণকারীদের একটি লুকনো বার্তা খুঁজে বের করতে বলেন তিনি। তবে অনেক চেষ্টার পরও কেউ এই গোপন বার্তা খুঁজে না পাওয়ায় বিকল্প কৌশল হাতে নেন কাজমা।
সিদ্ধান্ত নেন, সব অংশগ্রহণকারীর মধ্যে অর্থ ভাগ করে দেবেন। রবিবার সকালে তিনি প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনকারীদের ইমেইল পাঠিয়ে ডলার বৃষ্টির অবস্থান জানান। তবে এ ক্ষেত্রেও ব্যবহার করেন সাংকেতিক ভাষা।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত জায়গায় হেলিকপ্টার ও ১০ লাখ এক ডলারের নোট নিয়ে হাজির হন কাজমা।
কাজমা এই অনন্য কার্যক্রম নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন। ভিডিওটি তিনি তার আনুষ্ঠানিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন।
শিরোনাম দেন, পৃথিবীর প্রথম `ডলার বৃষ্টি।` গর্বের সাথে জানান, চেক রিপাবলিকে কোনো ধরনের অঘটন ছাড়াই হেলিকপ্টার থেকে এক মিলিয়ন ডলার ফেলেছেন তিনি।
আকাশ থেকে যখন ডলার নেমে আসতে শুরু করল, তখন হাজারো মানুষ নিকটবর্তী মাঠে জমায়েত হয়ে সেগুলো সংগ্রহ করতে শুরু করেন। অনেকেই প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ডলার সংগ্রহ করেন।
অনলাইন ভিডিওতে দেখা গেছে মানুষ মাঠের ওপর দৌড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে যত বেশি সম্ভব ডলার সংগ্রহ করছে। সেখানে অনেককেই ছাতা ধরেও ডলার সংগ্রহ করতে দেখা যায়। এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয় এই `ডলার শিকার`।
ইনফ্লুয়েন্সার কাজমা জানান, চার হাজার মানুষ অন্তত একটি হলেও এক ডলারের নোট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রতিটি এক ডলারের নোটের সাথে একটি করে কিউআর কোড যুক্ত ছিল, যার মাধ্যমে বিজেতারা চাইলে দাতব্য সংস্থায় সহায়তা দিতে পারবেন।