সৈকতে ভেসে উঠেছে ‘মৎস্যকন্যা’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২২, ২০২৩, ০৩:৩৬ পিএম

সৈকতে ভেসে উঠেছে ‘মৎস্যকন্যা’

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনির সৈকতে ভেসে এসেছে এক লম্বাটে সাদা মাংসপিণ্ড। এটির আকৃতি দেখতে অনেকটা কাল্পনিক ‘মৎস্যকন্যা’র মতো। 

এরপরই আসলে এটি কী, তা জানতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা। একই সাথে সাধারণ মানুষের মনে গভীর সমুদ্রের রহস্য নিয়ে যে আগ্রহ, তা আরও বেড়ে গেছে।

এরই মধ্যে এটির ছবি ‘নিউ আয়ারল্যান্ডার্স অনলি’ নামের ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর পাপুয়া নিউগিনির বিশমার্ক সমুদ্রের সিমবেরি দ্বীপের লোকজনের চোখে প্রথম মৎস্যকন্যার মতো অদ্ভুত, ফ্যাকাশে এবং অনেকটা নষ্ট হয়ে যাওয়া এই বস্তু ধরা পড়ে। 

বিশেষজ্ঞরা এখনো এটির প্রকৃত রূপ সম্পর্কে জানেন না। তবে তাঁদের বিশ্বাস, এটি রহস্যময় কিছু হওয়ার চেয়ে সামুদ্রিক কোনো জীব হতে পারে।

বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদ ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সের খবরে বলা হয়, এটি গ্লোবস্টার নামে পরিচিত। এই রহস্যবস্তুর সবকিছু জানা কঠিন হতে পারে। 

কারণ, জীবটির বেশির ভাগ অংশই পচে গেছে। আর এটির শরীরের অনেক অংশ সমুদ্রে হারিয়ে গেছে। এরই মধ্যে এই জীবের মাথা ও মাংসপিণ্ডের বড় অংশ নেই।

এনআইওর প্রতিনিধিরা লাইভ সায়েন্সকে জানান, এটির আকার ও ওজন জানা যায়নি। কারণ, আগেই স্থানীয় লোকজন জীবটিকে মাটি চাপা দেন। এমনকি কেউ ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করেনি। তাই এটির সত্যিকার পরিচয় বের করা প্রায় অসম্ভব।

অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিষয়ক বিজ্ঞানী হেলেন মার্শ লাইভ সায়েন্সকে বলেন, এটি দেখতে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো।

স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যানড্রিউজের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী বিশেষজ্ঞ সাসা হুকার লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘এটি আমার কাছে বেশ পচে যাওয়া কোনো সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী মনে হচ্ছে, এটি তিমি হতে পারে, আবার ডলফিনও হতে পারে। এ ধরনের প্রাণী যখন মরে যায়, তখন এর ত্বক এমন সাদা হয়ে যায়।’

Link copied!