৩ অক্টোবর বিশ্ব বয়ফ্রেন্ড দিবস। অন্য আর দশটা উপলক্ষের মতো প্রেমিকদের জন্যও আলাদাভাবে উদযাপিত হচ্ছে আজকের এ দিনটি। ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু হয় দিবসটির। ২০১৬ সাল থেকে এটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। বর্তমানে বিশ্বজুড়েই দিনটি বেশ সমাদৃত। তাহলে প্রেমিকের সঙ্গে আজ প্রেমময় দিন কাটুক!
কালের বিবর্তনে এখন বাঙালিকে নানান দিবস উদযাপনে করতে দেখা যায়। কখনো কখনো রোজ ডে, কখনো ভালোবাসা দিবস, আবার কখনো বন্ধু দিবস। হরেক রকম দিবস ঘিরে যেন তরুণ-তরুণীদের আগ্রহের কমতি নেই। সেজন্য অনেকে বলে থাকেন বাঙালিদের ১২ মাসে ১৩ দিবস।
একজনের জীবনে বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিকের গুরুত্ব বাক্যটি একবারে বলা গেলেও এর উত্তর এক কথায় দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। বয়ফ্রেন্ড, সুন্দর বাংলায় যাকে বলি প্রেমিক; সেই প্রেমিক হওয়া কিন্তু বড় সহজ নয়। নামকাওয়াস্তে প্রেমিক আর সত্যিকারের প্রেমিকের মাঝে ঠিক ততটুকুই পার্থক্য, যতটুকু পার্থক্য প্রেমিকার জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়।
যুগলরা বলছেন, সম্পর্কের মধ্যে তারা আগ থেকেই দিবসগুলোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে রাখেন। বিশেষ দিনে সঙ্গী নতুন কিছুর মাধ্যমে বিস্মিত করলে সেটা তারা উপভোগ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়ফ্রেন্ড দিবসে বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে মজা করতে মেতে উঠছেন তাদের বান্ধবীরা। সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে উঠেছে মজার মজার মিম দিয়ে। অনেকেই টুইটে জানাচ্ছেন শুভেচ্ছা।
কেবল মিষ্টি মিষ্টি কথা আর সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখানো নয়, বরং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকরভাবে পাশে থাকা, দমে যাওয়া মুহূর্তে সাহস জোগানো, পা হড়কানোর সময় শক্ত করে হাতটা ধরতে পারা; এসবই একজন সত্যিকারের প্রেমিকের বৈশিষ্ট্য। ও হ্যাঁ আরেকটি কথা। আপনার প্রেমিক পুরুষ বাহ্যিকভাবে হয়তো সুদর্শন না হতে পারেন, কিংবা হয়তো তিনি ছন্নছাড়া, বোহিমিয়ান। এসব কিন্তু অযোগ্যতা নয়। কে জানে, তিনি হয়তো আপনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে শতভাগ সৎ!