১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররা ইছাদিঘীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। ১৫ জুন সন্ধ্যায় ওই ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার সাইফুল ইসলাম।
জানা গেছে, দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন করেন মোখলেছুর রহমান। পোস্টার, মাইকিংসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ভোটারদের কাছে ভোটও প্রার্থনা করেন। এরপর ১৫ জুন ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফলে জানতে পারেন, মাত্র এক ভোট পেয়েছেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৪৪৯। ভোট পড়েছে (কাস্টিং) এক হাজার ১২১টি। ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে মোখলেছুর রহমান মাত্র এক ভোট পেয়েছেন। এ ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকে কহিনুর ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী, তাঁর বংশের ও শ্বশুরবাড়ির প্রায় ৫০টি ভোট রয়েছে। এই এক ভোট তাঁকে কে দিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বিষয়টি খোলাসা করেছেন মোখলেছুর রহমান নিজেই। তিনি দাবি করেছেন, ‘আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। এজন্য আমি ও আমার স্ত্রীও ভোট দিইনি। হয়তো কেউ ভুলে ভোটটি দিয়ে ফেলেছেন।’
প্রিসাইডিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মোখলেছুর রহমান তালা প্রতীক নিয়ে একটি ভোট পেয়েছেন। শুনেছি, তিনি প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এজন্যই হয়ত তিনি মাত্র এক ভোট পেয়েছেন। এ ওয়ার্ডে কহিনুর ইসলাম বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন।’