দীর্ঘদিন ধরে পরিবারকে চাপ দেওয়া সত্বেও বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাতেমপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নিরঞ্জন চন্দ্র শীল। এ ঘটনায় ছেলে নেপাল চন্দ্র শীলকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছে।
নিহত নিরঞ্জন শীলের স্ত্রী (নেপালের মা) রাধারানী গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল তাদের ছেলে নেপাল। কিন্তু ছেলে কর্মঠ না হওয়ায় কেউ তাদের ছেলের কাছে মেয়ে দিতে চায় না। নেপালের ফুফু বিউটি তাকে বিয়ে করিয়ে দেবে- এমন আশ্বাসে বাবার কাছ থেকে জমি লিখিয়ে নিতে বলে। নেপালের ফুফুর কথামত বিভিন্ন সময়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া হতো।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নেপাল তার বাবা নিরঞ্জন চন্দ্র শীলের মাথায় টেবিলের পায়া দিয়ে সজোরে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বেলা ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার দ্য রিপোর্টকে এ বিষয়ে বলেন, “নিহত নিরঞ্জন চন্দ্র শীলের মেয়ে হাসি থানায় অভিযোগ করার পর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। করেছেন। অভিযোগের পর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। অভিযুক্ত ছেলে নেপাল চন্দ্র শীলকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।”