ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২, ০৩:১৩ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদীতে একুশের প্রথম প্রহরে বাস টার্মিনালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কে আগে ফুল দেবে তা নিয়ে পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার প্রথম প্রহরে ১২.০১ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফুল দিতে আসা বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় উপস্থিতিদের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বিরূপ সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
উপজেলা পরিষদের বক্তব্য, রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ফুল দিবে। অন্যদিকে পৌর পরিষদের বক্তব্য, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীভুক্ত পৌরসভার মেয়রের অবস্থান উপরে থাকায় তার নেতৃত্বেই পুষ্পস্তবক আগে অর্পণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১২টার আগেই পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদ, পুলিশ বিভাগ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মিনারের পাদদেশে সমাবেত হয়। ১২.০১ মিনিটে ঘোষক প্রথমে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য ঘোষণা দিলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার উদ্ভব হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পরিষদের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হন। এসময় তারা বেশ কিছু সময় ফুল দেওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং উপস্থিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও আগে ফুল দিতে বলেন। পরে তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র ইসাহক আলী মালিথা গণমাধ্যমে বলেন, ‘২০২০ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীভুক্ত পৌর মেয়রের অবস্থান ২৫ নম্বরের প্রথমে। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কোনও অবস্থান নেই।’
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পি এম ইমরুল কায়েস গণমাধ্যমে বলেন, “আমরা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। বিধায় আমরা রাষ্ট্রের বা রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। উপজেলা পর্যায়ে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে সকল দিবসের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে আসন বিন্যাস বা বসার ক্ষেত্রে। যুগ্ম সচিব বা উপ-সচিব পদমর্যাদা সম্পন্ন হলেই কেউ ফুল নিয়ে সামনে যাবে এটা বা অন্য কোথায়ও প্রযোজ্য নয়।”