সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে এক বিছানায় ৬ স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমোন তিনি, আছে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের খাট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০৩:১২ এএম

সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে এক বিছানায় ৬ স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমোন তিনি, আছে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের খাট

বহুগামীতায় আসক্ত তিনি। একাধিক সম্পর্কেই থাকতে ভালবাসেন। বিয়েও করেছেন ১০টি। চারজনের সাথে বিচ্ছেদ হওয়ায় বর্তমানে ৬ স্ত্রী নিয়েই কাটছে ওই যুবকের জীবন। তবে রাতের বেলায় ৬ স্ত্রীকে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমাতে চান তিনি। আর তাই তৈরি করেছেন ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ৭ ফুট প্রস্থের খাট। এবার বেশ দিব্যি আরামে আছেন তিনি।

লাতিন আমেরিকার  দেশ ব্রাজিলের সাওপাওলোয় বাসকরা ওই যুবকের নাম আর্থার। ঘোষিত বহুগামী। এক নারীতে তার মন ভরে না। বর্তমানে স্ত্রীদের সবাইকে সময় দিতে দিতেই তার দিন কেটে যায়। সবার সাথে ভারসাম্য রেখে চললেও ঝামেলা বাধতো রাতের বেলা ঘুমোনোর সময়। কোন রাতে কোন স্ত্রীর সাথে ঘুমাবেন তারও রুটিন ঠিকও করে রাখেন তিনি। এক রাতের জন্য এক স্ত্রী। তাই কোনো দিন এই ঘরেতো আরেক দিন পাশের ঘরে রাত কাটাতে হতো আর্থারকে। এই নিয়ম তার মনের মতো হয়নি। তাই হতাশ হয়ে ভিন্ন পথ খুঁজে নিয়েছেন। এক বিছানায় এক সাথে ৬ স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমানোর জন্য বিশাল খাট তৈরি করেছেন। এভাবে ছয় স্ত্রীর ছয় ঘরে না গিয়ে সকলকে এক বিছানায় নিয়ে আসার এই অন্যরকম বন্দোবস্ত করেন।

সব স্ত্রীকে নিয়ে একসাথে নিয়ে ঘুমানোর জন্য তিনি নতুন একটি খাট তৈরি করিয়েছেন। ২০ ফুট ও ৭ ফুট চওড়ার ওই খাট তৈরিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। তারপরও তিনি এখন বেশ খুশি সবাইকে এক বিছানায় নিয়ে সময় কাটানোর জন্য। 

আর্থার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৬ জন স্ত্রীর সাথে থাকতে থাকতে কখনও তাকে সোফায়, কখনও বাধ্য হয়ে মাটিতে শুতে হত। আর ওইসব সমস্যায় তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ২০ ফুটের নতুন বিছানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিছানাতে তাদের আগামী দিনগুলো আরও সুখের ও অর্থবহ হয়ে উঠে উঠবে বলে আশাবাদী আর্থার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থার নামে ওই যুবক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন খাটের বিশেষ বিছানা তৈরি করতে তাঁর ১৫ মাস সময় লেগেছে। ১২ জন কর্মী বিছানা তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। এই পালঙ্কটি পোক্ত করতে দরকার হয়েছে ৯৫০টি স্ক্রু।

উপার্জনও তার অদ্ভূত উপায়ে

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে স্ত্রীদের নিয়ে থাকেন আর্থার। ব্রাজিলে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। আর্থার এমন একটি ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করেন। ওই ওয়েবসাইটে তিনি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন নিয়মিত। মূলত স্ত্রীদের নিয়ে যৌনসংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ওই ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন। এভাবে আর্থার ও স্ত্রীরা ওয়েবসাইট থেকে ৫১ লক্ষ রুপি (প্রায় ৭৫ লাখ টাকা) টাকা আয় করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিয়মিত ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেন এই যুবক। তার ছকভাঙা দৈনন্দিন যাপনের ঝলক দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। একারণে ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার সংখ্যা দুই লাখের বেশি।  

এছাড়া, নিয়মিত যৌন জীবনের নানা ঝলক প্রকাশ্যে আনেন ব্রাজিলের এই যুবক। কী ভাবে তিনি এত জন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখেছেন, অনুরাগীদের কাছে ভাগ করে নেন সেই সংক্রান্ত ‘টিপস’।

গণমাধ্যমকে আর্থার জানান, তাঁদের যৌন জীবন অত্যন্ত সুখের। সকলের সম্মতিতেই তিনি এই বহুগামী সম্পর্কে আছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্ত্রীরা যৌন মিলনের আগে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ করে নেন। তাতে নাকি ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা কম।

অর্থাৎ, কবে কোন স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাবেন, আগে থেকে তা কথা বলে ঠিক করে নেন যুবক। যৌনতার একটি রুটিনও তিনি তৈরি করে রেখেছেন। যদিও রুটিন বার বার গুলিয়ে ফেলেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।

আর্থারের স্ত্রীর সংখ্যা এক সময় ছিল ৯। পরে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ৪ জনের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই চার তরুণীও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। পরে আরেকটি বিয়ে করেন।

Link copied!