ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৫:০৮ পিএম
পরিবারের সদস্যদের প্রতি খেয়ালতো রাখেনই না, দিনের প্রায় পুরো সময়টা ব্যয় করেন মাছ ধরার পেছনে। রাতের বেলাতেও বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে। এমন এক স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, আদালতে শুনানির দিনও ওই স্ত্রীর স্বামী মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরে আদালতের পক্ষ থেকে বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়ার পর তিনি আদালতে হাজির হন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানডং প্রদেশে বসবাসরত সান –ঝাং দম্পত্তির মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
চীনের গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ‘র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বামীর ডাক নাম সান। তার স্ত্রীর নাম ঝাং। সান মাছ ধরতে খুব পছন্দ করেন। তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান মাছ ধরা। মাছ ধরার পেছনে নিজের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন তিনি। সংসার, স্ত্রী–সন্তানের প্রতি ভীষণ উদাসীন সান।
বেশির ভাগ সময় মাছ ধরার পেছনে ব্যয় করায় সানকে নিয়ে সংসারে দেখা দেয় অশান্তি। এমতাবস্থায় স্বামীর সঙ্গে আর সংসার করতে চান না জানিয়ে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন স্ত্রী ঝাং।
বিবাহবিচ্ছেদ আবেদনে ঝাং জানান, ১০ বছরের সংসারজীবনে সান তাকে খুবই কম সময় দিয়েছেন। এমনকি সন্তানদেরও সময় দেন না তাঁর স্বামী। সানের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান মাছ ধরা। মাছ ধরার পেছনে নিজের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেন তিনি। সংসার, স্ত্রী–সন্তানের প্রতি ভীষণ উদাসীন তার স্বামী।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার যখন আদালতে সান ও ঝাংয়ের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন শুনানি হয় তখন সেখানে ঝাং উপস্থিত থাকলেও সান অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি মাছ ধরা নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে শুনানির সময় পর্যন্ত ভুলে গেছেন। পরে আদালতের পক্ষ থেকে বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়ার পর তিনি আদালতে হাজির হন।
আদালতে ঝাং বলেন, সান মাছ ধরতে গেলে তিনি সংসার সামলাতেন। প্রতিদিন সকালে উঠে পরিবারের সবার জন্য নাশতা বানিয়ে, দুই সন্তানকে প্রস্তুত করে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে এরপর কাজে যান । আর সান বাড়িতে থাকলেও সারাক্ষণ সোফায় শুয়ে শুয়ে নিজের মুঠোফোনে গেম খেলেন। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্ত্রীর অভিযোগের কারণে বেশ বিরক্ত হন সান এবং তিনি বিবাহবিচ্ছেদে রাজি হন।
বিচারকও সানের এসব আচরণে অবাক হয়েছেন। তাঁর মতে, মাছ ধরা খারাপ কোনো কাজ নয়। তবে এটার সীমা থাকা উচিত। তবে মধ্যস্থতার জন্য আদালতের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।