স্বামীর বাড়িতেই প্রেমিককে ১০ বছর লুকিয়ে রাখেন স্ত্রী!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২২, ২০২১, ০৫:৫২ পিএম

স্বামীর বাড়িতেই প্রেমিককে ১০ বছর লুকিয়ে রাখেন স্ত্রী!

ওয়ালবুর্গা ওয়েসটেরেইচ নামের এক জার্মান নারী তার স্বামীর বাড়ির চিলেকোঠায় টানা দশ বছর প্রেমিককে লুকিয়ে রাখেন। আর দীর্ঘদিন স্ত্রীর প্রেমিক বাড়িতেই থাকলেও তার টিকিটিরও দেখা পাননি স্বামী।

ওয়ালবুর্গার ডাকনাম ডলি। জার্মান এই নারী বিয়ে করেছিলেন আমেরিকার একজন ধনী কাপড় ব্যবসায়ীকে। তার নাম ছিল উইলিয়াম। আর ডলির প্রেমিকের নাম ছিল ওট্টো।

ডলি তার স্বামী এবং প্রেমিক ওট্টোর সঙ্গে ১০ বছর এক সঙ্গে যে বাড়িতে থাকতে, সে বাড়ির চিলেকোঠায় ছিল গোপন একটা ঘর। সেখানেই ওট্টোকে লুকিয়ে রাখেন ডলি। তার স্বামী উইলিয়াম কাজের জন্য বাইরে বেরিয়ে গেলেই ডলির কাছে নেমে আসতেন তিনি। আবার উইলিয়াম আসলেই নিজের জায়গায় চলে যেতেন।

ডলি ১২ বছর বয়সে উইলিয়ামের কাপড়ের কারখানায় চাকরি শুরু করেন। সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী ডলিকে দেখে আকৃষ্ট হয়ে উইলিয়াম ১৭ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। এরপর ১৯১৩ সালে ডলির বয়স যখন ৩৩ বছর, তখন স্বামী উইলিয়ামই তার সঙ্গে ১৭ বছরের ওট্টো সানহুবারের পরিচয় করিয়ে দেন।

মূলত ডলির সেলাই মেশিন ঠিক করার জন্য ওট্টোকে বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন উইলিয়াম। প্রথম পরিচয়েই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন তারা। এরপর এক পর্যায়ে প্রতিবেশিদের বাকা চোখ উপেক্ষা করতেই ওট্টোকে বাড়িতে লুকিয়ে রাখাই সঠিক মনে করেন ডলি।

আর ওট্টোও ডলির প্রেমে এতটাই পাগল হয়ে পড়েছিলেন যে কারখানার কাজ ছেড়ে সে প্রেমিকার বাড়িতে পাকাপাকি ভাবে থাকতে চলে আসে। বাড়ির ছোট্ট চিলেকোঠায় থাকতে শুরু করে সে।

সারারাত চিলেকোঠায় থাকত ওট্টো আর উইলিয়াম বেরিয়ে গেলেই নীচে নেমে আসত। এরকমভাবে চলছিল তার জীবন। তবে পুরো ঘটনা অজানা ছিল উইলিয়ামের কাছে। ১৯১৮ সালে একবার স্ত্রী ডলিকে নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলস চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন উইলিয়াম। তখন বুদ্ধিমতী ডলিও লস অ্যাঞ্জেলসে এমন একটা বাসা পছন্দ করেন যেখানেও একটা চিলেকোঠা ছিল। ডলি এবং উইলিয়াম নতুন বাড়িতে ওঠার কিছু দিন পর ওট্টোও সেখানে গিয়ে আগের মতোই থাকতে শুরু করেন।

এভাবে ১০ বছর কেটে যায় তাদের। এ সময়ের ভেতরে ওট্টোর উপস্থিতি একটুও টের পাননি উইলিয়াম। এক রাতে স্ত্রী ডলির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুনে পিস্তল হাতে নীচে নেমে আসে ওট্টো। এসেই উইলিয়ামকে গুলি করে খুন করে সে।

পরবর্তীতে খুনের অপরাধে জেল খাটেন ওট্টো ও ডলি। ছাড়া পেয়ে ওট্টো নিজের নাম বদলে কানাডায় চলে যায়। সেখানে অন্য এক নারীকে বিয়ে করে সেন। অন্যদিকে, ডলি লস অ্যাঞ্জেলসেই থাকতেন। ১৯৬১ সালে ৮০ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

 

Link copied!