সোশ্যাল মিডিয়ায় গত বছরের নভেম্বরে ভাইরাল হওয়া ভারতের ভুবন বাদ্যকর নামে এক কাচা বাদাম বিক্রেতা আর বাদাম বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিব্রিটি হয়ে যাওযায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে হিন্দুস্তান টাইমস, জিনিউজসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। অবশ্য ভাইরাল হয়ে ভুবনের আর সেই দৈন্যতা নেই। তিনি এখন কণ্ঠশিল্পী।
লাইকি, টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব সবখানের চর্চিত বিষয় ছিল তার ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি। ভাইরাল হয়ে রাতারাতি সেলিব্রেটিতে পরিণত হন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের প্রত্যন্ত অঞ্চল কুড়ালজুরি গ্রামের ভুবন।
যে কাচা বাদাম বেচে ভুবন তারকায় পরিণত, এখন তা-ই আর বেচবেন না বলে জানিয়েছেন ভুবন বাদ্যকর।পুরোনো পেশা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর বলেছেন, ‘আমি সেলিব্রিটি, আর বাদাম বেচব না’।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইলামবাজারের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ভুবন বলেন, “এখন বাদাম বিক্রি করলে সবাই ঘিরে ধরবে, বাদামই বিক্রি হবে না। আর আপনাদের কাছে যখন পৌঁছে গিয়েছি, তখন আর আশা করি, বাদাম বিক্রি করতে হবে না।”
'গোধূলি বেলা’ নামের যে মিউজিক কোম্পানি প্রথম তার গান প্রকাশ করেছিল, তারাই এবার তার সঙ্গে তিন লাখ রুপির চুক্তি করেছে বলে জানা গেছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে ইলামবাজারে বৃহস্পতিবার ভুবন বাদ্যকরকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। এ সময় তাকে দেখতে ভিড় জমায় অনেকে। অনেকের মুখে শোনা গেছে তার সেই ভাইরাল গান - ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নেই কো বুবু ভাজা বাদাম, আমার কাছে পাবে শুধু কাঁচা বাদাম...’
এদিন অনেকেই নানা উপহারও নিয়ে আসেন। বার্নপুর নামক এলাকা কয়েকজন তরুণ-তরুণী ভুবনকে পিয়ানো উপহার দেন। এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভুবনকে শাল, কম্বল, ফুল ও মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়।
ভুবনের গান যেন আর কেউ ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্যই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোধূলিবেলার মালিক গোপাল ঘোষ।
তিনি বলেন, ভুবনের ‘কাচা বাদাম’ গান প্রকাশ করলেও কপিরাইটের বিষয়টি সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল ছিলাম না আমরা। তাই যে যেমন পেরেছেন, ভুবনের গান ব্যবহার করেছেন। তবে এখন বিষয়টি বুঝতে শুরু করেভি। তাই গান চুরি রুখতে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ নেব। এতে প্রতিষ্ঠান ও ভুবন দুই পক্ষই লাভবান হবে।