সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ও দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত ৯ আগস্ট জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, সেই কাউন্সিলে তাঁকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত জাতীয় পার্টির জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “জি এম কাদের এখন দলের একজন সাধারণ সদস্য। তিনি এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার তাঁরাই। এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনে নতুন কমিটি জমা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদার একাধিক, মালিক কে তা খুঁজে পাচ্ছেন না। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টির একাংশ।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “কাউন্সিলের ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। নতুন কমিটি গঠনের পর জি এম কাদের আর কোনোভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেন না। লাঙ্গল প্রতীক কোনো ব্যক্তির নয়, এটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত জাতীয় পার্টির প্রতীক।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু পক্ষ নির্বাচন কমিশনে ভিন্ন ভিন্ন আবেদন জমা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তবে আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৈধ নেতৃত্বের আবেদনেই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া যায়।
জি এম কাদেরের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “তিনি কখন কী বলেন, নিজেও জানেন না। কখনও বলেন ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি চান’, আবার বলেন ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন বৈধ হবে না’। দ্বৈতনীতির এই রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ নেতারা।