মিরপুরের ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ভাসানটেক ১৩ নম্বর কালভার্ট রোড এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন, মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)।
সূত্র জানায়, মশার কয়েল ধরতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
বাসার কেয়ারটেকার রিফাত হোসেন বলেন, ‘লিটন মিয়া নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী ওই বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। গত রাত চারটার দিকে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু পাইপের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে চুলার সংযোগ ছিল। ওই চুলার সংযোগে লিকেজ থাকায় ঘরে গ্যাস জমে থাকে। মশার কয়েল জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে ধায়। পরে দ্রুত ভোর পাঁচটার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।’
দগ্ধদের সবশেষ অবস্থা তুলে ধরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ভোরে মিরপুরের ভাসানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মেহরুন্নেসার ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ ও সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’