আজ ২৪ মে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গায়ক, গীতিকার, সুরকার বব ডিলানের ৮০তম জন্মদিন। ষাটের দশক থেকে শুরু করে পাঁচ দশকেরও অধিক সময় ধরে জনপ্রিয় ধারার মার্কিন সঙ্গীতের অন্যতম প্রধান পুরুষ বব ডিলান ১৯৪১ সালের ২৪শে মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন।
বব ডিলনের পুরো নাম নাম রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান। সংগীতজগতে প্রবেশের পর নিজের নাম বদলে ফেলেন তিনি।
বিশ্বের অসংখ্য সংগীতশিল্পী ও মানবতাবাদী প্রেরণার উৎস শিল্পী বব ডিলান।তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, ডিস্ক জকি,পরিচালক, সংগীত পরিচালক এবং একই সঙ্গে একজন কবি, লেখক ও চিত্রকর। শিল্পের এসব শাখায় আজীবন তিনি ফুটিয়েছেন মানবতা আর যুদ্ধবিরোধী চেতনার ফুল। ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিসংগ্রামে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এ জর্জ হ্যারিসনের সাথে বব ডিলান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় তার নাম রয়েছে। ২০০৪ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন প্রকাশিত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০০ গায়ক তালিকায় দ্য বিটলের পর বব ডিলান দ্বিতীয় অবস্থান দখল করেন।
বব ডিলান বিশ্বসংগীত ও সংস্কৃতিজগতের এক মহাবিস্ময়। সংগীতকে আশ্রয় করে তিনি খুঁজেছেন মানবতার পথ, গেয়েছেন সাম্যের জয়গান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিয়েতনাম, পৃথিবীর যে প্রান্তে অন্যায় দেখেছেন, বারবার ফুঁসে উঠেছেন বব। তিনি বলেছেন, ‘আমার বন্দুক নেই, কিন্তু কলম আছে।’
২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর সুইডিশ একাডেমি তাকে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে। বব ডিলানই প্রথম গীতিকার যিনি নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।সুইডিশ একাডেমির মতে বব ডিলান যুক্তরাষ্ট্রের সঙগীত ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক ধারা সৃষ্টি করেছেন।
স্টকহোমে পুরস্কার ঘোষণার সময় সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব সারা ড্যানিয়ুস বলেছিলেন, ‘ডিলানকে বেছে নেওয়া বিস্ময়কর মনে হতে পারে বটে। তবে পেছনে ফিরে তাকালে আপনারা হোমার (গ্রিক কবি) ও সাপফোকেও দেখতে পাবেন। তাঁরা যেসব কাব্য রচনা করেছিলেন, সেসব লেখা হয়েছিল কেবল শোনার ও পরিবেশন করার জন্য, মাঝেমধ্যে যন্ত্রানুষঙ্গে। বব ডিলানও তো সেটাই করেন। তাঁকে পড়াও যায়।’
তারপরও একজন গীতিকারকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।