একটানা ৩৬ ঘণ্টা চলল নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৩ হ্যাকাথন

শামস তারেক আজিজ

অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম

একটানা ৩৬ ঘণ্টা চলল নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৩ হ্যাকাথন

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

রাজধানীর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং ভার্চ্যুয়ালি গত ৬-৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩’-এর নবম আসর। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসা আয়োজিত এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা চলে একটানা ৩৬ ঘণ্টা। 

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তিনি প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৩ হল একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম যা শুধুমাত্র উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে না বরং আমাদের তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি শেখার আগ্রহ জাগায়। এটি সৃজনশীল এবং স্বাধীন চিন্তাশক্তি প্রয়োগের উপযুক্ত স্থান।” 

দীপু মনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ধারাবাহিকতা চতুর্থবার বিশ্বজয় করবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইউবি-এর উপাচার্য তানভীর হাসান এবং বাংলাদেশের ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা জেমস গার্ডিনার।

জেমস বলেন, “এটা অসাধারণ যে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়নি। বাংলাদেশের নিজেদেরকে নিয়ে আপনাদের গর্ব করা উচিৎ।”  তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন আগমী বছর আবার বাংলাদেশ দল থেকে চতুর্থ বারের মতো বিজয়ী হবে।

প্রসঙ্গত, নাসা বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের ৯টি শহরের দুই হাজারের অধিক প্রতিযোগী থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে শীর্ষ ৫০টি দল নিয়ে আইইউবিতে এবং বাকি ৫০টি দল নিয়ে অনলাইনে এই হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৮ সালে ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলীক’। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত দল ‘টিম মহাকাশ’। ২০২২ সালে ‍‍‘টিম ডায়মন্ডস‍‍’ সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়।

Link copied!