ভিডিও গেম যখন ‘ইতিহাসের সাক্ষী’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১৯, ২০২৩, ০৩:৪২ এএম

ভিডিও গেম যখন ‘ইতিহাসের সাক্ষী’

ভিডিও গেমের মাধ্যমেও জানা যায় আমাদের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে।

বর্তমান বিশ্বে বিনোদনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর মধ্যে ভিডিও গেম উল্লেখযোগ্য। শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রায় সব বয়সি মানুষই গেম খেলতে ভালোবাসে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, কনসোল, ট্যাব, স্মার্টফোন ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে গেম খেলা যায়।

কম্পিউটার গেম বা ভিডিও গেম এখন একটা বয়সের ছেলেমেয়েদের এতটাই প্রিয় যে তারা একবার গেম খেলতে বসলে কম্পিউটার ছেড়ে উঠতে চায় না। এই জনপ্রিয়তা অনেক অভিভাবকের উদ্বেগের কারণও হয়ে উঠেছে। তবে ভিডিও গেমের মাধ্যমেও জানা যায় আমাদের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে।

‘হিরোজ অব ৭১’ মুক্তিযুদ্ধের ওপর বানানো প্রথম ভিডিও গেম। ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বরে গুগল প্লে স্টোরে মুক্তি পায় এই গেম। এই খেলায় কাল্পনিক গেরিলা গ্রুপ শামসু বাহিনীকে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের বিভিন্ন ধাপে ধাপে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র চালাতে হয়। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, ভয়াবহতা, গুরুত্ব আর খণ্ডযুদ্ধের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে তরুণেরা।

‘এজ অব এম্পায়ার’ আরেকটি ইতিহাসনির্ভর যুদ্ধভিত্তিক খেলা। এটি প্রথম মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। খেলার শুরুতে আপনাকে ইতিহাসের পাতা থেকে একটা সভ্যতা বেছে নিতে হবে। এই গেমের প্রথম থেকে পঞ্চম সিজন পর্যন্ত আপনি ভাইকিং, রোমান, জাপানি, মঙ্গোলীয়সহ প্রায় ৪০টা সভ্যতার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন।

ভিডিও গেম ‘ওডিসি’ প্রাচীন গ্রিসের খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩১ সালের অ্যাথেন্স ও স্পার্টার ঐতিহাসিক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। জিটিএ কিংবা ফার ক্রাইয়ের মতো ওপেন ওয়ার্ল্ড গেমগুলো বিভিন্ন শহরের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হচ্ছে। ফলে খুব সহজেই এগুলো খেলার মাধ্যমে বিভিন্ন শহর বা দেশ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে।

এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকেন্দ্রিক কল অব ডিউটি আর ব্যাটলফিল্ড গেমের সিরিজ, মধ্যযুগের ওপর বানানো ‘কিংডম কাম: ডেলিভারেন্স’থেকেও ইতিহাস আর সভ্যতা নিয়ে শেখার আছে অনেক কিছু।

এসব গেম খেলার ভেতর দিয়ে আপনি বই পড়ার চেয়েও ইতিহাসের বেশি কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবেন। কেননা, আপনি যখন গেমটা খেলছেন, তখন আপনি আর বর্তমানে নেই, আপনি ওই সময়েরই অংশ।

Link copied!