অক্সিটোসিন হরমোন সাধারণত ‘লাভ হরমোন’ নামে সবার কাছে পরিচিত। প্রেমে পড়া থেকে শুরু করে শারীরিক মিলন ও সবদিক দিয়ে সামাজিক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। আর তাই এই হরমোনের নামকরণ করা হয়েছিল ‘লাভ হরমোন’ নামে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে যার কারণে অক্সিটোসিন হরমোনের ‘লাভ হরমোন’ নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গবেষণায় যে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে
বিজ্ঞানীরা প্রেইরি ভোল নামে একটি প্রাণির উপর অক্সিটোসিন হরমোন প্রয়োগ করে গবেষণা করেছেন। এটি ইঁদুরের একটি বিশেষ প্রজাতি। উত্তর এবং মধ্য আমেরিকার এই প্রাণির উপরে অক্সিটোসিন হরমোন প্রয়োগ করে বিশেষ গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা। ওই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, প্রেম, যৌন মিলন কিংবা সন্তান প্রতিপালনের জন্য অক্সিটোসিন হরমোনের সাহায্য নিতে হচ্ছে না প্রিইরি ভোলকে। আর এটি প্রত্যক্ষ করে তাজ্জব বনে যান গবেষক দল। গবেষক দলের অন্যতম প্রধান ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মানোলি এই ঘটনাকে ‘অবাক’ করার মতো বলে জানিয়েছেন।
প্রচলিত ধারণা মিথ্যা?
প্রেইরি ভোল নামে প্রাণিটির উপরে চালানো গবেষণায় পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে লাভ হরমোনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গবেষকদের মতে, আমাদের জীবনে লাভ হরমোনের বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই। অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ ছাড়াই সন্তান প্রসব করা থেকে শুরু করে দুধ উৎপাদন করতে পারে প্রেইরি ভোল। গবেষকদের মতে, প্রেম থেকে শুরু করে যৌন মিলন এবং সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনের পুরো প্রক্রিয়াটাই অত্যন্ত জটিল। এর সঙ্গে অক্সিটোসিন হরমোনের পাশাপাশি জিনেরও বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এই জটিল প্রক্রিয়ার কেবল অংশমাত্র অক্সিটোসিন বা লাভ হরমোন। এর বেশি কিছু নয় এটা।