বাংলাদেশকে ৮ রানে (ডি/এল) রানে হারিয়ে প্রথমবার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৭ জুন ভোরে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সেমিফাইনাল। সেদিন রাতেই ইংল্যান্ড ও ভারত অপর সেমিফাইনালে খেলবে।
১২ বলে ১২ রান দরকার ছিল। আফগানিস্তানের ডান হাতি পেসার নাভিন বল করতে আসেন। তিন বলে তিন রান দেন। এরপর তাসকিনকে বোল্ড ও পরের বলে মোস্তাফিজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আফগানিস্তানকে আনন্দে ভাসান। বাংলাদেশ ১০৫ রানে অলআউট ১৭.৫ ওভারে। বৃষ্টির জন্য টার্গেট বদলে ১১৪ রান করা হয়েছিল ১৯ ওভারে।
নাভিন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন। ২৬ রানে ৪ উইকেট তার। রশিদ খানও ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৮৩ রান তোলে ১২.১ ওভারে। ফলে সেমির আশা সেখানেই শেষ। তখন জয়ের আশা ছিল শুধু। আর লিটন ভাল লড়ািই করেছেন।
লিটন ৪১ বলে ফিফটি করেন। আর এতে বাংলাদেশ লড়াইয়ে ছিল। জয়ের আশা ছিল তাদের।
সেন্ট লুসিয়ায় বৃষ্টি বাগড়া দেয়। আর এতে কঠিন হয়ে যায় লড়াই। বাংলাদেশকে ৭৩ বলে ১১৬ রান করতে হবে। তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হাসান শান্ত সবাই হতাশ করেন।
লিটন দাস এদিন দাঁড়িয়ে যান। ভাল চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে রশিদ খানের লেগ স্পিনে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানও এদিন ফ্লপ।
রশিদ খান বাংলাদেশের সৌম্য সরকার, হৃদয়, রিয়াদ ও রিশাদকে আউট করেন।
এর আগে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ১১৫ রান তোলে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৫৫ বলে ৪৩ রান করেন। রিশাদ ৩ উইকেট নেন।
এ ম্যাচে সৌম্য ও তাসকিন ফেরেন। বাদ পড়েন জাকের আলী ও মাহেদী হাসান।