কোহলির রেকর্ডের দিনে কিউইদের লক্ষ্য ৩৯৮

স্পোর্টস ডেস্ক

নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০২:১০ পিএম

কোহলির রেকর্ডের দিনে কিউইদের লক্ষ্য ৩৯৮

শুরুটা হয় রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাটে। গিল পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর ব্যাটে হাতে আলো ছড়ান বিরাট কোহলি, সেঞ্চুর হাঁকিয়ে গড়েন রেকর্ডও। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৩৯৭ রান।

বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচে রান তোলের রেকর্ড গড়ল ভারত। ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নকআউট ম্যাচে ৩৯৩ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ তাদের বিপক্ষেই ভারত করল নতুন রেকর্ড।

দুই ওপেনার রোহিত শর্মা-শুবমান গিল নতুন বলে আক্রমণাত্মক শুরু করেন। ট্রেন্ট বোল্টের মতো বিশেষজ্ঞ সুইং বোলারও সুবিধা করতে পারেননি। শুরুর ৫০ রান তুলতে মাত্র ৩২ বল খরচ করেছেন ভারতীয় ওপেনাররা। যেখানে সিংহভাগ রানই আসে রোহিতের ব্যাট থেকে।

উড়ন্ত শুরু করলেও রোহিত সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। নবম ওভারে টিম সাউদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েছেন ভারত অধীনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৪৭ রান।

রোহিত ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমেছিল। তবে সেটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন গিল। তাতে ১৩তম ওভারেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরির পথে এগোলেও শেষ পর্যন্ত ইনজুরির কারণে পারলেন না, ছাড়তে হয়েছে মাঠ। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে নিজের ৬৫ বলে ৭৯ ইনিংসটি সাজান ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। তবে লড়াই চালিয়ে যান কোহলি। ৫৯ বলে তুলে নেন ৭২তম ওয়ানডে ফিফটি, বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যেটি প্রথম। ৮০তম রান নেওয়ার সময় তিনি ছাড়িয়ে যান শচীন টেন্ডুলকারকে। ২০০৩ সালের আসরে ১১ ইনিংসে ৬৭৩ রান করেছিলেন টেন্ডুলকার। ২০ বছর পর এক ইনিংস কম খেলেই তাকে টপকে গেলেন কোহলি। এরপর ১০৬ বলে পান সেঞ্চুরির দেখা। একইসঙ্গে শচীনকে তিনি ছাড়িয়ে যান আবারও। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০টি শতক এখন কেবল তার দখলে।

১২৮ বলে ১৬৩ রানের জুটি গড়ার পর সাউথির বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় নেন কোহলি। ১১৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১১৭ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফেরেন সাজঘরে। তবে লড়াই চালিয়ে যান শ্রেয়াস। মাত্র ৩৫ বলে প্রথম ফিফটি ছুঁয়ে পরের ফিফটি পূর্ণ করেন ৩২ বলে। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর আর ৫ রান যোগ করে তিনি বিদায় নেন বোল্টের বলে।

শেষদিকে আবারও ব্যাট করতে নেমেন ইনজুরিতে মাঠ ছাড়া গিল। তবে এই যাত্রায় তার ব্যাট থেকে আসে কেবল এক রান। আর লোকেশ রাহুলের ২০ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।

Link copied!