ঈদের বাকি ১ দিন, বাস-ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১, ২০২২, ০৩:৩৮ পিএম

ঈদের বাকি ১ দিন, বাস-ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

চাঁদ দেখার খবর পাওয়া গেলেই শুরু হয়ে যাবে ঈদের আনন্দ। এর আগে যদিও ঈদের যাত্রাপথে ঈদ আনন্দের অনুভূতি যাত্রীদের চোখে মুখে স্পষ্ট। প্রিয়জনের জন্য শখের পোশাক নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যাওয়ার এ দৃশ্য বরাবরই এক অদ্ভুত আনন্দের উপলক্ষে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাস ও রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সবখানেই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। যেকোন ভাবেই বাড়ি যেতে হবে। তাই যারা টিকিট পাননি, দাড়িয়েই ঘন্টার পর ঘন্টার পথ পাড়ি দেবেন। ভিড় ও ভোগান্তি থাকলেও ছুটিতে বাড়ি যেতে পেরেই খুশি তারা।  

বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে বসছেন যাত্রীরা। পথের ক্লান্তি যেন বাড়ি যাওয়ার আনন্দের সামনে খুবই সামান্য। প্রিয়জন যে তাদের জন্য পথের দিকে তাকিয়ে আছে অধীর প্রতীক্ষায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে এবারের ঈদ যাত্রা অনেকটা নির্বিঘ্ন হচ্ছে।  

দু-তিনটি ছাড়া সব ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর ছেড়ে গেছে। রাজধানীর বড় তিনটি দূরপাল্লার বাস টার্মিনাল গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, ঈদে অগ্রিম টিকিট কেনা যাত্রীরা কোনো বিড়ম্বনা ছাড়াই যাত্রা করছে। প্রতিটি টার্মিনালেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে।

পকেটমার ও অজ্ঞান পার্টি থেকে যাত্রীদের সাবধান থাকতে অনুরোধ করছে প্রশাসন। টার্মিনালগুলোতে সাদা পোশাকে নিয়োজিত রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রায় সব ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে স্টেশনে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে এবং ট্রেনের ভেতরে ঠাসাঠাসি অবস্থা তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে।

বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম রেজা বলেন, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে বিশৃঙ্খলা এড়াতে শুধু মোটরসাইকেল পারাপারের জন্যই একটি ঘাট বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পরও মোটরসাইকেলের জট কমেনি।

কালবৈশাখীর আশঙ্কায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দি ও বাংলাবাজার রুটে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। শিমুলিয়া নদীবন্দরের কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মাওয়া নদীবন্দরের জন্য ২ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় এবং নদীও কিছুটা উত্তাল হয়ে ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর নিয়ে জানা যায়, ফেরি চলাচল তখনো অব্যাহত ছিল। অতিরিক্ত পরিবহন পার হওয়ায় শনিবার রেকর্ড তিন কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে।  

 

Link copied!