কাতার বিশ্বকাপের যে তথ্যগুলো আপনি হয়তো জানেন না

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২১, ২০২২, ১০:৪৯ এএম

কাতার বিশ্বকাপের যে তথ্যগুলো আপনি হয়তো জানেন না

চার বছরের দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর শুরু হল দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থখ্যাত ফুটবলের সবচেয়ে জমকালো আসর ফিফা বিশ্বকাপ। এ যাবৎকালের সবচেয়ে দামী এই বিশ্বকাপটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। এবারই প্রথম বিশ্বকাপ যেটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দেখে যেতে পারেননি। বিশ্বকাপে দর্শক সারিতে নেই কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাও। অন্যান্য বিশ্বকাপের চেয়ে এই বিশ্বকাপে নানা দিক দিয়েই আলাদা।

এবারের বিশ্বকাপের যা কিছু অজানা সেসবই তুলে ধরা হচ্ছে একে একে:

১. এই প্রথম কোনো আরবদেশে বসল ফুটবল বিশ্বকাপের আসর।

২. দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া মহাদেশে আয়োজন হল ফুটবলের এই বিশ্ব আসর। ২০ বছর আগে জাপান-কোরিয়ার যৌথভাবে আয়োজন করেছিলো ফুটবল বিশ্বকাপ।

৩. বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবারই শীতকালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মেগা ইভেন্ট। সাধারণত মে-জুলাই মাসের মধ্যে আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ। কিন্তু সেই সময় কাতারে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে বলে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসকে বেছে নেওয়া হয়।

৪. এবারের আসরে প্রতিটি স্টেডিয়ামে রয়েছে এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি কোনো ফুটবল আসরের।

৫. রানি এলিজাবেথবিহীন প্রথম বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। এর আগে সব বিশ্বকাপই তিনি দেখেছেন কখনো মাঠে, কখনো বা টিভি পর্দায়।

৬. এবারের বিশ্বকাপে ২৬ জন খেলোয়াড় নিয়ে দলগুলো স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারেছে। কিন্তু এর আগে ২২ জন খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করা হতো।

৭. বিশ্বকাপের ম্যাচে বদলী খেলোয়াড় হিসেবে তিনজনকে নামানো যেতো এর আগে। তবে এবারের বিশ্বকাপে ৫ জন বদলী খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ থাকছে।

৮. এবারের বিশ্বকাপে গোললাইন প্রযুক্তি আর ভিএআর তো থাকছেই, সেই সাথে যুক্ত হয়েছে সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি। যার ফলে অফসাইডে গোল দেওয়ার সুযোগ আরও কমে গেল।

৯. প্রথমবারের মতো কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন নারী রেফারিরাও। তিনজন নারী রেফারি এবার টুর্নামেন্টে সৌন্দর্য বাড়াবেন। ৯২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো নারী রেফারিরা বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করছেন। এই তিন নারী হলেন: ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্রাপার, জাপানের ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা ও রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা।

১০. জনসংখ্যা এবং আয়তন দুইদিক থেকেই এখন পর্যন্ত কাতার সবচেয়ে ছোট আয়োজক দেশ হিসেবে রেকর্ড গড়ল।

১১. ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য আয়োজক কাতার খরচ করছে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজনে খরচ হয় মাত্র ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করতেই কাতার খরচ করেছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বিশ্বকাপের জন্য বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০০ বিলিয়নের মতো।

১২. কাতার বিশ্বকাপের খেলা হবে কেবলমাত্র ৮টি স্টেডিয়ামে। যেখানে ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপে ১২টি স্টেডিয়ামে খেলা হয়। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় হওয়া বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল মাত্র ৬ টি স্টেডিয়ামে। এরপর এত কম সংখ্যক স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে কাতারে।

১৩. কাতার বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে বসে দেখার টিকিটের দাম আগের সবগুলো সংস্করণকে ছাপিয়ে গেছে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে সব থেকে কম দামের টিকিটই হল প্রায় ৬০ হাজার টাকা করে।

১৪. এবারের আয়োজনটি সবচেয়ে কম দিনের মধ্যে শেষ হবে। মাত্র ২৮ দিনে শেষ হয়ে যাবে বিশ্বকাপের এই জাকজমকপূর্ন মেগা ইভেন্ট।

১৫. বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে রেকর্ড দেড় মিলিয়ন মানুষ কাতারে সশরীরে উপস্থিত এখন।

১৬. কাতার এক মাত্র আয়োজক দেশ যাঁরা এর আগে কখনোই ফুটবল বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে পারেনি!

১৭. এবারের বিশ্বকাপের মাস্কটের নাম লা’ইব (La'eeb) এবং বলের নাম আল-রিহলা (Al Rihla)।
এ দুটিই আরবি শব্দ।  ‘লা’ইব’ (La'eeb)। ‘লা’ইব’ কথার অর্থ হল বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়।
আল রিহলা বাংলায় যার অর্থ ‘সফর’। ইবন বতুতার ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই বলের নাম রাখা হয়েছে আল রিহলা।

Link copied!