কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে সাকিবদের বরিশাল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ১১:০১ পিএম

কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে সাকিবদের বরিশাল

ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচ যেন প্রথম এলিমিনেটরের হাইলাইটস। ফাইনালে যেতে ১২ বলে ২২ রানের প্রয়োজন ছিল কুমিল্লার। ক্রিজে সেট ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসি ও সুনীল নারাইন। এমন শ্বাসরূদ্বকর মুহূর্তে বল হাতে চার রান দিয়ে এক উইকেট নেন পেসার মেহেদি হাসান রানা। আর তাতেই ম্যাচ হেলে যায় বরিশালের দিকে। অল্প সংগ্রহ গড়েও বোলারদের নৈপুণ্যতা কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেছে সাকিব আল হাসানরা।

সোমবার মিরপুরে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ইমরুল কায়েসদের কুমিল্লার বিপক্ষে ১০ রানে জিতেছে বরিশাল। মুনিম শাহরিয়ারের দুর্দান্ত শুরুর পরও বরিশালের সংগ্রহ ১৪৩ এ গিয়ে ঠেকে। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা থামে ১৩৩ রানে। ম্যাচ সেরা রানা শেষ ওভারই বরিশালকে ফাইনালে তোলে।

ফরচুন বরিশাল ইনিংস আরেকবার শুরু হয় মুনিম শাহরিয়ার ঝড়ে। ক্রিস গেইলের সঙ্গে তাঁর ৫৮ রানের জুটি ভাঙে শহিদুল ইসলাম। ১৯ বলে ৪ চারে ২২ রান করে থামেন গেইল।

তবে মুনিম ছিলেন সহজাত, ৮ম ওভারে মইন আলীকে হাঁকান একটি করে চার ও ছক্কা। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার জুটি অবশ্য ২৬ রানের বেশি হয়নি। বাঁ হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের বলে মুনিম আউট হয়েছেন ৩০ বলে ২ চার ৪ ছক্কায় ৪৪ রান করে।

তার বিদায়ের পরই ভেঙে পড়ে ফরচুন বরিশাল ব্যাটিং লাইন আপ। ১০ রানের ব্যবধানে মইন আলির স্পিন ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফেরে শান্ত (১৩), তৌহিদ হৃদয় (১)। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন সাকিব আল হাসানও (১)। তাতে ৫ উইকেটে ৯৪ রানে পরিণত হয় ফরচুন বরিশাল।

সেখান থেকে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ পাওয়ার পথে জিয়াউর রহমান ও ডোয়াইন ব্রাভোর ব্যাটে ১৭ রান, ১১ রান করেছেন নুরুল হাসান সোহান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শহিদুলের।

জবাব দিতে নেমে ৬২ রানের দারুণ সূচনা পায় কুমিল্লা। শুরু থেকে বরিশালের বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও ধীর গতির ইনিংস খেলা জয় ফেরেন ৩০ বলে ২০ রান করে।

তিনে নেমে আজও ব্যর্থ ইমরুল। কুমিল্লার অধিনায়ক ফেরেন ব্যক্তিগত ৫ রানে। চারে আসা ডু প্লেসি ও মইন আলীর প্রতিরোধের পর আবারও ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা। তবে ৩৬ রানের এই জুটি ভাঙলে ফেরেন মইন (১৫ বলে ২২)।

শেষ দিকে নারাইনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ডু প্লেসি। কিন্তু ১৯তম ওভারে ডু প্লেসিকে ফিরিয়ে ম্যাচ সহজ করে নেন রানা। এরপর কেউই আর তেমন কিছু করতে পারেনি। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে থামে কুমিল্লা।

Link copied!