এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “যে দল দেশের জনগণকে পুড়িয়ে মারে, দেশ ও জনগণের কোনো উন্নয়ন চায় না সেই বিএনপি-জামায়াত কীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।”
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জাপানের দ্যা ওয়েস্টিন টোকিও হোটেলের গ্যালাক্সি বলরুমে জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে বলে থাকেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৯টি আসন পাওয়ায় বিএনপি কোন মুখে নির্বাচনে দাঁড়াবে। তাদের দল ২০টি কিন্তু নির্বাচনে তারা মাত্র ২৯টি আসন পায়।পরে উপনির্বাচনে আরও একটি আসন পায়।” এরই পরিপ্রেক্ষিতে ও পরাজয়ের ভয়ে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি-জামায়াত জোট।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে পাঁচশত লোককে হত্যা করে। পাশাপাশি ৭০টিরও সরকারি দফতর পুড়িয়ে ফেলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।”
এসময় সরকারপ্রধান বলেন, “মানুষের মধ্যে মানবিক গুণ থাকলে তারা কখনও মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে না। যারা এধরণের নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৃণমূল পর্যায়ে চালু হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো সুবিধা বন্ধ না করে জনগণের সুস্থতার জন্য ও তাদের মন জয় করার জন্য কাজ করা প্রয়োজন।”
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন,“ক্ষমতায় যেয়েই খালেদা জিয়া ওইসব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। এসব ক্লিনিক থেকে যারা স্বাস্থ্য সুবিধা পাচ্ছেন তারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়-এই ভেবে জোট সরকার ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়।”
‘বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই’ যারা বলে বা বলতে চায় তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে যখন স্বৈরশাসন চলছিল, ভোট কারচুপি এবং ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল হয়েছিল শুধুমাত্র তখনই তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখেছিলেন।” সূত্র: বাসস