দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য খন্দকার মোশাররফের এপিএস এএইচএম ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদুপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। এর আগে তাকে ধরতে পুলিশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছিলো।
ফুয়াদ ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার অন্যতম আসামি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি।
তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এর ভেতর মানি লন্ডারিং ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ফুয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, হত্যাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে । এর মধ্যে সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন এইচএম ফুয়াদ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবৎ হাতুড়ি বাহিনী, হেলমেট বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস, বিভিন্ন হাট-বাজার ইজারা নিয়ন্ত্রণ ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০১৫ সালের ১৫ ই জুন বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং আজকে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত এএইচএম ফুয়াদ জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলে তিনি আত্মগোপন করেন । দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপন করেছিলেন তাকে ধরার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বারবার পুলিশ অভিযান গ্রেপ্তার করতে পারেনি ।