বেটা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক
ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ১২:৪৩ এএম
ওমিক্রন আতঙ্কে নিজের স্ত্রী-সন্তানদের খুন করেছেন এক চিকিৎসক। ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তাদের খুন করার আগে সেই চিকিৎসক হোয়াটসঅ্যাপে ভাইকে পাঠানো বার্তায় লিখেছিলেন, লাশ গুনতে ক্লান্ত তিনি। এবং করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবে না।
হোয়াটসঅ্যাপে ভাইকে পাঠানো বার্তায় ওই চিকিৎসক ছিলেন, “লাশ গুনতে গুনতে আমি ক্লান্ত। ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে কেউ রেহাই পাবেনা। এমন পরিস্থিতির যাতে শিকার না হতে হয়, তাই ওদের মুক্তি দিচ্ছি।”
ঘটনার পর থেকে পলাতক চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী, সন্তানদের খুন করার পরই ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক। চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তার ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন, একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তার ভাবী। অন্য ঘরে ভাতিজা-ভাতিজি।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক।
চিকিৎসকের ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন, “তার দাদা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ওমিক্রন আতঙ্কেই কি খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে।”
তদন্তকারীরা চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি খুনের কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, ডায়েরিতে এটাও স্পষ্ট করে লেখা যে, “এখন থেকে আর লাশ গুনতে হবে না। করোনা সবাইকে মারবে।”
সূত্র: আনন্দবাজার
