ভিসির পদত্যাগ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, অনশন চলবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৯:৪৭ এএম

ভিসির পদত্যাগ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, অনশন চলবে

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে ভার্চুয়ালি ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের নানা আশ্বাস দিলেও, অন্যতম প্রধান দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।আলোচনা শেষে রাত আড়াইটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন আলোচনায় উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

নাদেল গণমাধ্যমে বলেন, “ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি সবকিছু শুনেছেন। মন্ত্রী তাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের আইনগত ও অ্যাকাডেমিক সমস্যা যাতে না হয় সে আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন। এছাড়ও শিক্ষার্থীদের মন্ত্রী অনুরোধ করেছেন তারা যেন অনশন ভেঙে আন্দোলন থেকে সরে যান। তিনি আলোচনায় প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।”

নাদেল আরও বলেন, “রবিবার শিক্ষার্থীরা যেন লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠান। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনশন ভাঙার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো কথা আসেনি। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সবার সঙ্গে কথা বলে কাল আমাদের জানাবেন।”

এদিকে, শিক্শামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, “আমাদের দাবি আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি। উনার সময় সল্পতার কারণে আমাদের সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেননি। তবে রবিবার আমাদের সঙ্গে আবারও বসবেন বলে জানিয়েছেন। এতে আমাদের সব দাবি দাওয়া লিখিতভাবে তাকে পাঠাতে বলা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে  গত ১৩ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আন্দোলনে নামেন হলের ছাত্রীরা। তারা হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি জানান।

১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

 

Link copied!