মহাকাশের পথে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৫, ২০২১, ০৮:২৪ পিএম

মহাকাশের পথে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ

মহাকাশের উদ্দেশে পৃথিবীর মাটি ত্যাগ করেছে মহাকাশ বিষয়ক টেলিস্কোপ ‘জেমস ওয়েব’। দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে ইউরোপিয়ান আরিয়ান রকেটে চেপে মহাকাশে যাত্রা করেছে এ টেলিস্কোপ।

এযাবতকালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহাকাশ বিষয়ক টেলিস্কোপ এটি।

টেলিস্কোপটির মূল লক্ষ্যগুলোর একটি হচ্ছে সাড়ে ১৩ বিলয়ন বছর আগের অর্থাৎ, বিগ ব্যাংয়ের পরপরই সৃষ্ট আদি নক্ষত্রের তথ্য অনুসন্ধান করা। এ বস্তুগুলোর মধ্যে পারমাণবিক বিক্রিয়া থেকেই জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রথম ভারী পরমাণুগুলো সৃষ্টি হয়। যেমন কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ফসফরাস ও সালফার সৃষ্টির জন্য এগুলো দায়ী।

এর বাইরে এ টেলিস্কোপ দিয়ে দূরবর্তী নক্ষত্রের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। কোনো গ্রহ বাসযোগ্য কি না তা বুঝতে সাহায্য করবে এ টেলিস্কোপ।

টেলিস্কোপ তৈরিতে খরচ পড়েছে কমপক্ষে ১০০০ কোটি ডলার। ৩০ বছর ধরে এর নকশা করা হয়েছে। এই টেলিস্কোপ একবিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার মধ্যে অন্যতম। দূরে অবস্থিত গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডল, আবহাওয়া সম্পর্কেও অনুসন্ধানের সক্ষমতা আছে এ টেলিস্কোপের।

চাঁদে অবতরণকারী অ্যাপোলো নভোযানের একজন স্থপতির নামে নামকরণ করা হয়েছে টেলিস্কাপটির। এটি হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরী।

টেলিস্কোপটি তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও কানাডার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রকৌশলীরা। এটি আগের যেকোনো টেলিস্কোপের চেয়ে শতগুন শক্তিশালী।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থার প্রধান নিল নেলসন বলেন, “ওয়েব অসাধারণ একটি মিশন। আমরা যখন বড় স্বপ্ন দেখি তখন কী অর্জন করতে পারি তার এটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ এটি। আমরা জানতাম, প্রকল্পটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কিন্তু, বড় পুরষ্কার চাইলে, আপনাকে বড় ঝুঁকিই নিতে হবে।”

টেলিস্কোপটিতে রয়েছে সাড়ে ছয় মিটার প্রশস্ত সোনালী আয়না। এটি হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে তিনগুন প্রশস্ত। এ ছাড়াও বর্ধিত অপটিক্স চারটি অতি-সংবেদনশীল যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মহাকাশের গভীরে দেখতে সক্ষম করে তুলবে।

মিশনের সঙ্গে যুক্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানী হেইডি হ্যামেল বলেছেন, “আমরা জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। একটি নতুন সীমান্ত। এটাই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্পর্কে আমাদের রোমাঞ্চ তৈরি করেছে।”

Link copied!