লবণ-জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০৩:৩৭ এএম

লবণ-জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন

লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। দেশে প্রথমবারের মতো এই জিনোম সিকুয়েন্স উন্মোচিত হলো।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহে বিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

এর মধ্য দিয়ে ধান গবেষণায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের ২ মিলিয়ন হেক্টর জমি লবণাক্ত, যেখানে বছরে ১টি ফসল হয়। খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে ও ভবিষ্যতে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা লবণাক্ত, হাওরসহ প্রতিকূল এলাকায় বছরে ২-৩ টি ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। পূর্ণাঙ্গ জিনোম উন্মোচনের ফলে লবণাক্ত ও জলমগ্ন সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ সহজ হবে।

জানানো হয়, বিনা ও বাকৃবির যৌথ এ গবেষণায় বিভিন্ন মাত্রার গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মিউট্যান্ট সৃষ্টি করে তা থেকে নানামুখী পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এম সিক্স জেনারেশনে ৩টি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত মিউট্যান্টগুলো প্যারেন্ট অপেক্ষা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং ৮ ডিএস/এম মাত্রার লবণাক্ততা ও ১৫ দিন জলমগ্নতা সহিষ্ণু।

২০১৯ সালে এই গবেষণায় প্যারেন্ট ও নির্বাচিত তিনটি মিউট্যান্ট ধানের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয় যা বাংলাদেশে প্রথম।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও লবণাক্ততা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কার্যকর উপায় হচ্ছে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিনা) ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী প্রায় এক দশক ধরে কাজ করে চলেছেন।

Link copied!