বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ বাংলাদেশের উপকূলে আসার আগেই শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হঠাৎ এই বৃষ্টির প্রভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
রাজধানীতে রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় অঝোর বৃষ্টি। যানবাহন সংকট আর রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।
রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় যানজট এবং সকালে অফিসগামী মানুষের জন্য গণপরিবহনের সংকট থাকায় ভোগান্তিতে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা। ফলে, রাজধানীতে আজকের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছানোর নিয়ে ছিলেন শঙ্কিত।
পড়ুন:'আইজকা মনে অয় আর খাওন জুটবো না'
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সারাদিন দেশের বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকার আকাশ পরিষ্কার হতে থাকবে। ফলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীত বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার রয়েছে। দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযান ও মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই নিম্নচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যে দেশের আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। দেশের অনেক এলাকায় ইতিমধ্যে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে আট মিলিমিটার। ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ছয় মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।
চলতি মাসের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই মাসে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসার আশঙ্কা কম। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি এবং শেষের দিকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ সৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসা শুরু করবে। নদীতীরবর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।