মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে হাজারো মরদেহ। উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১২ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে মোট মারা গেছেন ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ২৯৬ জন। মঙ্গলবার ওই সময় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৯২ জনের। অর্থাৎ বুধবার গত ২৪ ঘন্টায় সারাবিশ্বে ১৩ হাজার ৮০৪ জন মারা গেছেন। সোমবার (১০ মে) পর্যন্ত সারাবিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ ৬ হাজার ৩১৩।
এদিকে, বুধবার (১২ মে) পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৩২ জন। মঙ্গলবার (১১ মে) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৬। এই হিসেবে বুধবার গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৪ হাজার১২৬ জন।
সোমবার (১০ মে) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার ১৮২ জন।। এই হিসেবে মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল ৬ লাখ ৪০ হাজার ৪২৪ জন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩৪ জন। মঙ্গলবার (১১ মে) এই সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৪। অর্থাৎ বুধবার গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ লাখ ২৭ হাজার ৭০ জন। সোমবার (১০ মে) পর্যন্ত বিশ্বে সুস্থ হয়েছিলেন মোট ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬০ জন। মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় সারাবিশ্বে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে এখনও শীর্ষে অবস্থান করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির এই দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৬ হাজা্র ৯৪৬ জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১১ মে) পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৯৬ হাজার ১৭৯। অর্থাৎ বুধবাবর গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে ৭৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ মে) পর্যন্ত দেশটিতে মারা যায় ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮১২ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ১১৫ জন। মঙ্গলবার (১১ মে) এই সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৩৫ লাখ ১৫ হাজার ৩০৮। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮১ জন।
ব্রাজিল
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭১১ জন। মঙ্গলবার (১১ মে) পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৬। বুধবাবর গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২ হাজার ২৭৫ জন। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ লাখ ২২ হাজার ৪১৮ জনের। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮ জন। মঙ্গলবার (১১ মে) পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ কোটি ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৩০ জন। সোমবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯০।
ভারতে সর্বোচ্চ রেকর্ড মৃত্যু ৪২০০
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যুর দিকে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। বাংলাদেশের প্রতিবেশি এই দেশটিতে এই পর্যন্ত ২ লাখ ৫৪ হাজার ২২৫ জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১১ মে) পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ২৫ জনের। বুধবার গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৪হাজার ২০০জন। এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত ভারতের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
সোমবার (১০ মে) পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬। মঙ্গলবার গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে মারা যায় ৩ হাজার ৮৭৯ জন।
ভারতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৪২৬ জন। মঙ্গলবার (১১ মে) পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্ত হয়েছিলেন ২ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৯২৭ জন। বুধবার গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে মোট করোনারোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯৯ জন। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ২ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১০ জন। মঙ্গরবার গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হন ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।