আর মাত্র ৮ দিন পরই মাঠে গড়াবে দ্য গ্রেটেস্ট শো অব দ্য আর্থ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২। কাতারে বিশ্বকাপের এই জমকালো আয়োজনে মাঠে নামতে উদগ্রীব হয়ে আছেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার নেইমার। পরের বিশ্বকাপে থাকবেন কি না এই সন্দেহ মনে জাগ্রত তাই এই আসরেই নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টায় আছেন তিনি।
সান্তোসের সেই ১৪-১৫ বছরের নেইমারকে তুলনা করা হতো ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের সাথে। তারপর তিনি ‘নতুন পেলে’ তুলনায় গা ভাসিয়ে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির মতো মাথার মাঝখান দিয়ে চুল রেখে সাজ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি নিজের সাজসজ্জা নিয়েও বেশ আলোচনায় থাকেন ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকার।
রাশিয়ায় আয়োজিত গত বিশ্বকাপেও প্রায় প্রতি ম্যাচেই নতুন নতুন সাজে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। নেইমার যে কতভাবে নিজেকে সাজিয়েছেন তার হিসাব নেই। কখনও তিনি চুল বাদামি করেছেন, কখনও লাল। এ নিয়ে দাবি করা হয়, ইনজুরি থেকে প্রতিপক্ষের মনোযোগ সরাতেই ওই বুদ্ধি করেছিলেন তিনি।
এই বিশ্বকাপে নেইমার নতুন কোন লুকে মাঠে আসবেন সেটা দেখার অপেক্ষায় দর্শকরা। পিএসজি তারকা তাই নতুন ‘মেকআপ’ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
মাঠে ও মাঠের বাইরে বিশ্বকাপ জুড়ে নিজেকে উপস্থাপন করার বেলায় নতুনত্ব ও প্রাণবন্ত ভাব নিয়ে আসতে রূপচর্চার টেবিলে দেখা গেল এই পিএসজি তারকাকে!
শনিবার স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা ব্রাজিলের স্ট্রাইকার নেইমারের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জুলিয়ানা নেইভা নামে এক ডার্মাটোলজিস্ট নেইমারের ত্বকের চিকিৎসা করছেন।
ইনস্টাগ্রামে ওই চিকিৎসক একটি ভিডিও আর একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। তা থেকেই জানা গিয়েছে নেইমারের এই চিকিৎসার কথা।
তার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রয়েছেন নেইমার। জুলিয়ানা নামের ওই চিকিৎসক এলেন সেখানে। এসে কথা বলতে শুরু করলেন নেইমারের সঙ্গে। নেইমারের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে তাকে।
সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিয়ে জুলিয়ানা বলেছেন, ‘আমরা নেইমারের জন্য এ বছরে ট্রিটমেন্টের একটি পরিকল্পনা করেছি। বিশ্বকাপের আগেই তা শুরু করা হয়েছে। নেইমারের ত্বকের চিকিৎসা করা হচ্ছে। তার ত্বক রোগমুক্ত হলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
তিনি জানিয়েছেন, নেইমার ত্বকের যত্ন নেন। এ জন্য তিনি ৬ বছর আগেই বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছিলেন। ওই ডার্মাটোলজিস্ট জানিয়েছেন, নেইমারের ত্বক খুব তৈলাক্ত প্রকৃতির। খুব সংবেদনশীল। নেইমারের জন্য দৈনিক পরিচর্যার রুটিনও বানিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জুলিয়ানা। প্রতি চার মাসে তার কাছে দেখানোর পরামর্শও দিয়েছেন।
ত্বকে বদল ঘটিয়ে নতুন লুকে ঝরঝরে নেইমার কাতারে বিশ্বকাপে বল জালে জড়ানোর পারফরম্যান্সে কী জাদু দেখান সেটাই এখন দেখার বিষয়।