মেসি ও মার্তিনেজের কাঁধে চড়ে সেমি ফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা। এদিনই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ল সবচেয়ে ফেভারিট দল ব্রাজিল। নেদারল্যান্ডের সাথে রোমাঞ্চকর এক লড়াই জিতে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থদের কাছে বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপে ৩২ দল অংশ নিলেও বাংলাদেশের ফুটবল প্রিয় মানুষের প্রিয় দল দুটি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকার এ দুটি দলের মধ্যে এখন টিকে রইল মেসির দল।
দুর্ভাগ্য ব্রাজিলের সাথী হয়েছিল এদিন। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় একেবারে শেষ মূহুর্তে নেইমারের গোলে লিড পেয়েও সেই জয় ধরে রাখতে পারেনি। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে এগিয়ে থেকেও ১-১ এ সমতা এলে টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
তবে ব্রাজিল বিদায় নিলেও বাংলাদেশি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের হতাশ করেনি লিওনেল মেসিরা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩৫ ও ৭৩ মিনিটে গোল করে দলের সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখান মলিনা ও মেসি।
কিন্তু ৮৩ দুর্দান্ত হেডে গোল করেন ব্যবধান কিছুটা কমান ডাচ তারকা ওয়াউট উইঘোর্স্ট। খেলা শেষ হতে মাত্র ১মিনিট বাকি ছিল। সেই সময়ে ফ্রি কিক পায় নেদারল্যান্ডস। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি কিক থেকে গোল করে ডাচদের ঐতিহাসিকভাবে ম্যাচে ২-২ গোলে সমতায় ফেরান উইঘোর্স্ট।
নেদারল্যান্ড-আর্জেন্টিনার এই ম্যাচটি নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ ব্যবধানে ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ে।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুই দলই গোল দিতে ব্যর্থ হয়। তখন খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টিশুটাউটে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে দারুণ দুটি সেভ করে আর্জেন্টিনাকে মূলত বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছিল লিওনেল মেসির দল আর্জেন্টিনা। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বিদায় নেয় তাঁরা। এবার তাঁরা আশা দেখাচ্ছে, ৩৬ বছরের শিরোপা অপেক্ষা ঘোচানোর।
কাতারে চলমান ফিফার ২২ততম বিশ্বকাপে সৌদি আরবের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের বিপক্ষে হেরে মিশন শুরু করে আর্জেন্টিনা। সেই হার তাঁদেরকে আরও শাণিত করেছে, পরের জয়গুলো থেকে এটিই প্রতীয়মান হয়।