রুশ হামলার মুখে জরুরী অবস্থা জারি করার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জরুরী অবস্থার মেয়াদ থাকবে ৩০ দিন। ইউক্রেনের পার্লামেন্ট অনুমোদন দিলেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষদ সদস্যদের বৈঠক
বৈঠক শেষে কিয়েভের উচ্চ পর্যায়ের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেকসি ডানিলোভ বলেছেন, সংঘাতপূর্ণ দোনেস্ক ও লুহান্সক শহর বাদে বাকি সব শহরে জরুরী অবস্থা থাকবে। ডোনবাসের ওই দুটি শহরে রুশ সমর্থনে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ইতোমধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
এছাড়া রাশিয়ায় অবস্থানরত প্রায় ৩০ লাখ ইউক্রেনের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছে কিয়েভ। স্বাধীনতা ঘোষণা করা ইউক্রেনের রুশপন্থী অধ্যুষিত দোনেস্ক এবং লুহান্সক শহরের নাগরিকদের নিরাপত্তায় ওই এলাকা দুটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সোমবার রুশ সৈন্যদের নির্দেশ দেন পুতিন। রুশ সৈন্যদের ঠেকাতে রিজার্ভ ফোর্সকে প্রস্তুত করছে ইউক্রেন। চলমান অবস্থায় রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর নানা ধরণের অবরোধ আরোপ করেছে। ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের পার্লামেন্টে আলোচনার সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রুশ আগ্রাসন থেকে কিয়েভকে রক্ষায় সব ধরণের সহযোগিতা করবে এর মিত্ররা।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে কোন আপোস করতে রাজি নয় মস্কো।
আরও পড়তে পারেন-