প্রায় গোটা বিশ্বই এখন ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রুশ হামলায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে তাই রাশিয়া। তবে এ নিয়ে মোটেও ভাবিত নন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ফলে পশ্চিমারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে পুতিন আরো বলেন, মস্কোর বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের ফলে পাল্টা বিপাকে পড়বে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রাশিয়া আবারো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন পুতিন।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ছে। মস্কো তার নিজের সমস্যার সমাধান করবে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষতি করছে। তারা আমাদের স্বর্ণ এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে জব্দ করেছে। এভাবে, রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ করার সব ধরনের চেষ্টা করছে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে সেদেশে জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা নিজেদের ভুল আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কোনো বিকল্প ছিলো না। রাশিয়া এমন কোনো দেশ নয় যে স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক লাভের জন্য নিজ দেশের সাথে আপোস করবেন। রাশিয়ার তেল নিষিদ্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ভুলের জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করছে বলেও জানান পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা বৈধ নয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নিজেদের জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে এবং রাশিয়া শান্তভাবে তার নিজের সমস্যার সমাধান করবে।
পুতিন বলেন, রুশ তেল আমদানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তার সরকার বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে।
সূত্র: এএফপি ও রয়টার্স।