আইন পর্যালোচনা করে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: এলজিআরডিমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২১, ২০২১, ০৫:০৪ এএম

আইন পর্যালোচনা করে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: এলজিআরডিমন্ত্রী

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে আইন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত খসড়া বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “মেয়র পদে থাকবে কি না, এ বিষয়টা আইন পর্যবেক্ষণ না করে আমার পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। আইন দেখে পরবর্তীতে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা হবে। এখন মেয়র আছে। কতদিন থাকবে, সেটা আইন দ্বারা নিষ্পত্তি করা হবে।”

দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। অথচ তিনি এ দল থেকে মনোনয়ন নিয়েই মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি এবার মেয়র থাকতে পারবেন কি-না। 

২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন জাহাঙ্গীর।

স্থানীয় সরকার আইনে বলা আছে, দলীয় প্রতীকে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো কারণে ওই সংসদ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার পরও সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। তবে  কোনো মেয়রকে দলীয় সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হলে মেয়র পদে থাকতে পারবেন কি না, সেটি স্থানীয় সরকার আইনে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই।

দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচনের বিষয়টি ২০১৫ সালে সিটি করপোরেশন আইনে সংযুক্ত করা হয়।  আইনের ৩২ ধারায় নতুন ৩২ক ধারা সন্নিবেশিত করা হয়। সেখানে বলা আছে, ‘কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ব্যক্তিকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হইবে।’

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘কটূক্তি’র একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ১১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, হেফাজতের প্রয়াত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে তার সখ্য ও রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেন মেয়র জাহাঙ্গীর।এরই পরিপ্রেক্ষিতে দল থেকে বহিষ্কারের  সিদ্ধান্ত  নেয় আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড।

Link copied!