আদালতে তোলা হয়েছে কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননা মামলার প্রধান আসামি ইকবালকে। শনিবার (২৩ অক্টোবর) আদালতে তোলা হয়েছে। শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তাকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলার আরও চার আসামী রয়েছে। তারা হলেন, ট্রিপল নাইনে ফোন দেয়া ইকরাম, ঘটনাস্থল থেকে লাইভ দেয়া ফয়েজ, সিসিটিভির ফুটেজে শনাক্ত হওয়া মাজারের আরও দুই ব্যক্তি। সবাই এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে, ইকবালকে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার হয়। পরে সেখান থেকে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়।
শুধু নানুয়ারদীঘির পাড়ের মণ্ডপেই নয় আরো একটি মন্দিরের ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন ইকবাল বলে জানাচ্ছে পুলিশের সূত্র। তদন্ত সূত্র বলছে, শুরুতে নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে ঢুকতে ব্যর্থ হন ইকবাল। এরপর তিনি গিয়েছিলেন ওই মণ্ডপের অদূরে দিগম্বরীতলার গুপ্ত জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে গেটের তালা ভাঙতে ব্যর্থ হন ইকবাল। ফলে সেখানেও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে। সেসময় ওই মণ্ডপে লোকজন না থাকায় কোরআন শরিফ রেখে যান ইকবাল।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল কী তথ্য দিয়েছেন সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।